তিন দিনেও মেরামত করা যাচ্ছে না ভোলার ভেঙে যাওয়া বাঁধ

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২০, ২২:২৬

আমাবস্যার কারণে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব ও উজানের পানির তোড়ে ভোলার ভেঙে যাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ তিন দিনেও পুরোপুরি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড গত দুই দিন ধরে বাঁধের সংস্কার কাজ করলেও তা মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এতে করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বর্তমানে ভোলার পূর্ব ইলিশার ১২টি গ্রামের প্রায় চার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব পরিবারেগুলোতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক এসব দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে সেখানকার মানুষের জন্য তাৎক্ষণিক পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ছাড়াও ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় আরো অন্তত ২০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। মানুষের ঘর-বাড়ি, পুকুরের মাছ, ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গত বৃস্পতিবার ভোরে মেঘনা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানির তীব্র স্রোতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা ক্ষতির মধ্যে পড়ে। এর মধ্যে ভোলা সদরের পূর্ব ইলিশা মুরাদছবুল্লা গ্রামের সাজিকান্দি এলাকার বেড়ি বাঁধের প্রায় ২০ মিটার ভেঙে যায়। কিন্তু তাৎক্ষণিক সেই ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামতে ব্যর্থ হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। যার কারণে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। জোয়ারের পানিতে ইতোমধ্যে ওই এলাকার মানুষের ঘর-বাড়িসহ পুকুরের মাছ, জমির ফসল, রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। দুর্গত এসব পরিবারগুলোর ঘরে চুলো জ্বালানোর অবস্থা নেই।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ও পাইলিং করে সংস্কার করার চেষ্টা হলেও শুক্রবার বিকাল ও গত রাতে জোয়ারে তা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত সংস্কার সম্ভব না হওয়ায় তা মানুষের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জোয়ারের পানিতে বাঘার হাওলা, গুপ্ত মুন্সি, রামদাসপুর, সোনাডোগি, কালুপুরসহ নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পানিবন্দি মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। বন্যা পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের মাঝে আমাদের এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান, পানির চাপ বেশি থাকায় বাঁধ সংস্কার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আশা করি, পানির স্রোত কমে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে ২-১ দিনের মধ্যে বাঁধ সংস্কার করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :