সংকট মোকাবিলায় পারিবারিক সবজি বাগান

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০২০, ১৩:৪০

মোহাম্মদ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

করোনাকালীন ও পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থাপন করা হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি পারিবারিক সবজি বাগান। উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩২টি করে পারিবারিক সবজি বাগান স্থাপনের এ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সরকারি প্রণোদনার আওতায় বাগান করার জন্য এসব পরিবারকে নগদ টাকা ছাড়ও সার, বীজ ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যার ১ শতাংশ জায়গা রয়েছে এমন সব পরিবারকে বাড়ির আঙ্গিনায় বাগান স্থাপনের জন্য নির্বাচিত করে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। করোনাকালেও এসব পরিবার যেন নিজেদের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি উপার্জনের সুযোগ পায় এ লক্ষ্যে প্রতিটি পরিবারকে নগদ ১ হাজার ৯৩৫ টাকা ও বিনামূল্যে বিভিন্ন সবজির বীজ, বাগানের বেড়াসহ ২ হাজার ৬০০ টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ জুন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

জানা গেছে, প্রতিটি বাগানে রয়েছে পাঁচটি বেড। এসব বেডে পুইঁশাক, ডাটাশাক, লালশাক, লাউ, কলমী শাক, বড়বটিসহ অন্তত আট প্রকারের সবজি চাষ করা হচ্ছে। প্রতিদিন একটি পরিবারের জন্য অন্তত আড়াইশ গ্রাম সবজি প্রয়োজন হলেও উচ্চ মূল্যের কারণে এবং করোনা পরিস্থিতিতে অনেকের পক্ষেই সবজি কেনা সম্ভব হচ্ছে না। বাগান স্থাপনের ফলে নিম্ন আয়ের এসব মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে বছরে ১২০০ থেকে ২ হাজার টাকার বাড়তি উপার্জন করতে পারবে। সারাবছর এসব বাগান থেকে উপকৃত হবার পাশাপাশি যেন বাগান তৈরির অভ্যাস গড়ে উঠে সেই লক্ষ্যেই এই পারবারিক সবজি বাগানগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

সবজি বাগানের মালিক তালুকদার হোসেন ও সাজ্জাদ মিয়া বলেন, ‘করোনার এই সময়ে আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি বাগান করে একদিকে পরিবারের সবজির চাহিদা মিটছে। অন্যদিকে সামান্য বাড়তি আয়েরও ব্যবস্থা হয়েছে। যাদের বাড়ির আঙ্গিনায় সামান্য জায়গা আছে, অবসর সময়ে তারা সবজি বাগান করে উপকৃত হবে ।‘

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, ‘করোনাকালে এসব বাগান পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উৎস হবে। যারা আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করছেন তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/পিএল