৩০ ব্র্যান্ডের প্রসাধনী নকল, কারখানা মালিকের কারাদণ্ড

প্রকাশ | ২৪ আগস্ট ২০২০, ১৭:৩২ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২০, ১৮:৫৫

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লায় বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন নকল ক্যামিকেল দিয়ে ৩০টি ব্যান্ডের নকল প্রসাধনী তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে আবু সুফিয়ান নামে এক কারখানা মালিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলি এলাকার এ কারখানাটি সিলগালা করে তাকে এ দণ্ডের আদেশ দেয়।

জানা গেছে, বাজারে প্রচলিত কুমারিকার জায়গায় কণ্যারিকা, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর জায়গায় ফেসিয়াল লাভলী ও সুগন্ধি ফগের জায়গায় ফগস। গত দুই বছরের অধিক সময় ধরে এমন পাঁচটি দেশী, ২৫টি বিদেশি প্রসাধনীর নকল পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর এলাকার আবু সুফিয়ান নামে ওই ব্যক্তি। তিনি নগরীর মোগলটুলি এলাকার হাইস্কুলের পেছনের একটি বাড়ির তিন কক্ষের ভাড়া বাসায় এসব পণ্য তৈরি করেন।

আবু সুফিয়ান জানান, ঢাকা থেকে ক্যামিকেল ও অন্যান্য অনুষঙ্গ এনে তিনি এসব প্রসাধনী তৈরি করতেন। তিনি নিজেই কারখানার মালিক। নিজেই ক্যামিস্ট। পণ্য বাজারজাত করতেনও নিজেই। তিনি ট্রেড মার্কের জন্য আবেদন করেছেন। ব্যবসা পরিচালনার জন্য আর কোন অনুমোদনপত্র তার নেই।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম জানান, আবু সুফিয়ারনের ওই কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, তিনজন মহিলা প্রসাধনী মোড়কজাত করছেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসব প্রসাধনী। কারখানায় কোন ল্যাব নেই। প্লাস্টিকের ড্রামে রাখা আটা-ময়দা। পাশে খোলা ড্রামে তেল ও ক্যামিকেল। ড্রামের আদা-ময়দা, তেল ও ক্যামিকেল মিশ্রণ করার একটি যন্ত্র। এগুলো ব্যবহার করেই তৈরি করা হতো প্রসাধনীগুলো।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক মজিবুর রহমান জানান, মোগলটুলিতে যেভাবে প্রসাধনী তৈরি হয়েছে সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরুপ। এগুলো ব্যবহারে চর্মরোগ এবং ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাহী হাকিম আবু সাঈদ জানান, ওই কারখানার মালিকের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রসাধনীর আদলে নকল প্রসাধনী তৈরি করতেন তিনি। তাই তাকে ছয় মাসের কারদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/পিএল)