মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রেক্ষাগৃহ বাঁচান: সম্রাট

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২০, ১১:৫৭

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রেক্ষাগৃহ হোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সাংস্কৃতিক বিকাশের অংশ। আমরা তার দেখানো পথে এগিয়ে যেতে চাই। সেজন্য আমাদের স্বতন্ত্র অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এমনই আশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরফুদ্দিন এলাহী সম্রাট।

তিনি বলেন, ১৪০০ সিনেমা  হলের জায়গায় এখন সংখ্যা দুই অংকের ঘরে। অথচ সংখ্যাটি বাড়তে পারতো। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে অশ্লীলতা, পাইরেসি, সেন্সর বোর্ডে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে হল থেকে মধ্যবিত্ত পরিবার হারাতে শুরু করি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওই সময়ে অদূরদর্শী সরকারি মনোভাব, যার প্রভাবে পুরো সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির দেয়ালে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। সুখের কথা হচ্ছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সিনেমাকে শিল্প ঘোষণা দিয়ে আমাদের বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এজন্য সব সময়ই আমরা কৃতজ্ঞ।’

কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে সম্রাট বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক প্রেক্ষাগৃহগুলো কেন শিল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না, তার কারণ অজানা। অথচ সাংস্কৃতিক মানসিকতার প্রধানমন্ত্রী আপাদমস্তক একজন সিনেমার পৃষ্ঠপোষক। সিনেমার ব্যাপারে তার দুর্বলতা সর্বজনবিদিত। এর পরও আমরা শিল্পের সুবিধা পাচ্ছি না। তবে আমরা আস্থা রাখতে চাই তার ভিশনের ওপর।’

করোনা প্রকোপে বড় অংকের ক্ষতির মুখে প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা উল্লেখ করে সম্রাট বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস সিনেমা হল বন্ধ। যার কারণে প্রতিটি হল মালিক বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সরকার হয়তো হল খুলে দেবে, কিন্তু অনেক হল মালিকরাই আর হল খুলবে না। কারণ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার মতো কোনো আশাব্যাঞ্জক উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান হয়নি। এতে করে শঙ্কা বাড়ছে হল মালিকদের মাঝে।’

এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত হল খোলার অনুমতি, বিদ্যুৎ বিল মওকুফ, ভারতীয় ছবি আমদানির অনুমতি ও যৌথ-প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণের নিয়ম শিথিল করার দাবি জানান সম্রাট। তিনি বলেন, ‘এগুলো কেবল ফাইলবন্দি রাখলে হবে না। দ্রুত বাস্তবায়নের পথও দেখিয়ে দিতে হবে। সরকার যদি এ সকল উদ্যোগ নেয়, তাহলে আমার মনে হয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা হলও খুলে যাবে।’

এই মুহূর্তে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানা কঠিন হবে উল্লেখ করে এলাহী বলেন, ‘হলগুলো জেলা প্রশাসন থেকে ডেকোরেট করে পজেটিভ প্রচারণার ভারটি আমরা নিতে পারি। সত্যি বলতে, আমরা আতঙ্কে রয়েছি। যদি উল্লেখিত বিষয়গুলোর ইতিবাচক সাড়া না পাই, তাহলে হয়তো অনেক মালিকই তাদের হলগুলো আর খুলবে না। কিন্তু আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই সাংস্কৃতির অগ্রপথিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নিরাশ করবেন না।’

ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/এসকেএস/এএইচ