সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ গ্রামের সলিমউল্লাহর বাড়িতে আঁখি আক্তার (২৭) নামে এক নারীকে গলা ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী রুবেল। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সলিমউল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছালামত মিয়ার স্ত্রী নিপা আক্তারকে (৪০) আটক করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুর দেড় টার দিকে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-বি) মো. খোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

খোরশেদ আলম জানান, নিহত আঁখি আক্তারের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার দেউলী চৌরাপাড়া গ্রামের গ্রামে। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম এবং হুমায়রা নামে তার চার বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

প্রায় সাত বছর আগে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী ঘাতক রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। পাঁচ মাস আগে রুবেলকে আঁখি আক্তার তালাক দিয়ে দেয়। ঘাতক রুবেল সোনারগাঁও উপজেলার মুগারচর গ্রামের মফিজুর ইসলামের ছেলে।

পুলিশের হাতে আটক নিপা আক্তার জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নিহত আঁখি আক্তার তার ভাড়াটে ফ্ল্যাট বাসায় আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই আঁখি আক্তারের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী রুবেলও একই বাসায় আসেন।

এরপর তারা পাশের একটি রুমে গিয়ে বসে কথা বলতে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর ঘাতক রুবেল বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর নিপা আক্তার ওই রুমে গিয়ে দেখেন আঁখি আক্তারের গলা ও পায়ের রগকাটা অবস্থায় মরদেহটি খাটের উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

এদিকে বেলা সোয়া ৩টার দিকে জেলা থেকে সিআইডি পুলিশের ক্রাইমসিনের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে হত্যার আলামত সংগ্রহ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/কেএম)