‘প্রাথমিকে সমাপনী পরীক্ষা একেবারেই বন্ধ হোক’

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২০, ২২:২৫ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২০, ২২:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনার কারণে এবছর বন্ধ হলেও এই সুযোগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইডি) পরীক্ষা একেবারে বন্ধ করে দেয়া উচিত। মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর ঢাকা টাইমসকে একথা বলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদ।

করোনার কারণে দেশে গত ছয় মাস ধরে বন্ধ শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম। এখনো প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে এবছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইডি) পরীক্ষা এবার না নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার।

তবে কেন্দ্রীয়ভাবে এই পরীক্ষার আয়োজনের বিরোধিতা করে আসছিলেন শিক্ষাবিদসহ বিশেষজ্ঞরা। সরকার করোনার জন্য শুধু এবার পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এই পরীক্ষঅ একেবারে বন্ধ করে দেয়া উচিত।

অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদ বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছি এই প্রাথমিকে সমাপনী পরীক্ষা না রাখতে। কিন্তু সেগুলো মানা হয়নি। এখন যেহেতু করোনার কারণে সুযোগ এসেছে এটা কাজে লাগানো উচিত। শুধু চলতি বছরের জন্যই নয় একেবারে বন্ধ করে দেয়া উচিত। সেক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রেণিকক্ষের ধারাবাহিক মূল্যায়ন যথাযথভাবে করতে হবে।’

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার চেয়েও ভাষা শিক্ষা এবং অংক বোঝার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ─ এমন মন্তব্য করে এই শিক্ষক বলেন, ‘অন্যান্য দেশে ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট করা হয়, আমাদের দেশেও সেটা করা উচিত। তবে সেজন্য শিক্ষকদের সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে।’

‘প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার চেয়েও সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ভাষা শিক্ষা এবং অংক বোঝা। অর্থাৎ বাংলা এবং ইংরেজিতে ঠিকমতো পড়তে এবং লিখতে পারে কি না সেগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া।’

ড. মনজুর আহমদ বলেন, ‘পরীক্ষাটা গৌণ, পড়ালেখাই মুখ্য। তাই এই করোনাকালেও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার দিকেই মনোযোগী থাকা দরকার। তবে পড়ানোর অংশ হিসেবে শিক্ষার্থী শিখলো কি-না কিংবা না শিখতে পারলে তাকে কীভাবে সহযোগিতা করা যায় সে ব্যাপারে শিক্ষকদের আগ্রহী হতে হবে। তাই ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা অব্যাহত রাখতে হবে।’

বর্তমান অবস্থায় পাবলিক পরীক্ষা কিংবা বছর শেষের পরীক্ষাটি নেয়া হলে শিক্ষার্থীর ওপর একটা আলাদা চাপ হয়ে পড়বে বলেও মত দেন তিনি। বলেন, ‘প্রতিটা ক্লাসে শিক্ষার্থী কতটুকু শিখছে বা কতটা ঘাটতি আছে সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। অর্থাৎ পরীক্ষা নয় পড়ালেখার প্রতিই আগ্রহী হওয়া দরকার।’

(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/ডিএম/জেবি)