দিনাজপুরে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০২০, ১৫:২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর

দিনাজপুরের আবহাওয়া ও মাটি অনুকূলে থাকায় অনেকেই মালটা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। শখের বসে অনাবাদি জমিতে মালটাচাষে আশাতীত সাফল্য পাওয়ায় অনেকেই এখন বাণিজ্যিকভাবে এ ফল চাষ করা শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এবং ভালো দাম পেলে এ অঞ্চলে মাল্টা চাষের পরিধি আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার বাগানগুলোতে সু-স্বাদু ফল মাল্টার টক-মিষ্টি গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। উৎপাদিত এসব মালটা আকারেও বড়। অনাবাদি জমি, বাসা-বাড়ি’র আঙ্গিনার পাশাপাশি ফসলি জমিতে মালটা চাষ করে আশাতীত সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। এমনই একজন চাষি হলেন দিনাজপুর শহরের প্রবাসী আব্দুল হেল বাকি রফিক। তিনি বিরল উপজেলার শহরগ্রামের নিজের তিন একর পতিত জমিতে মাল্টা চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করেছেন তিনি।

শুধু রফিক নয়, লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে দিনাজপুরের বিরল, বোচাগঞ্জ, কাহারোল, বীরগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলায়। জেলায় চাষ করা অধিকাংশ গাছেই মাল্টা ধরছে। আবার অনেক গাছ রয়েছে নিবিড় পরিচর্যায়। গাছগুলি বেশ পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।

মাল্টা চাষে সফলতা লাভ করবেন বলে আশাবাদী বিরামপুরের চাষি আকরামুজ্জামানও। তিনি তার দেড় বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন।

এদিকে বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান জানান, তার উপজেলাতেই ১০ একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। অধিকাংশই বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করছেন। এর ফলনও ভালো। এছাড়া দূর-দুরান্ত থেকে এসব মাল্টা বাগান ও গাছ দেখতে ছুঁটে আসছে মানুষ। তারা এসব বাগা দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন মাল্টা চাষে।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, ভৌগলিক কারণে দিনাজপুরের পুষ্টিকর এ বিদেশি ফল মাল্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ পর‌্যন্ত জেলায় প্রায় ৩৬ একর জমিতে এ ফল চাষ হচ্ছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষে সফলতা আসবে। এছাড়া ব্যাপকভাবে মাল্টা উৎপাদন করা গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং দেশে পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/পিএল)