বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি বাজারে ছাড়লো ওয়ালটন

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০২০, ২১:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অসহনীয় গরমে শীতল স্বস্তির পরশ দিতে জুড়ি নেই এয়ার কন্ডিশনার বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের। বর্তমান সময়ে এসি আর বিলাসদ্রব্য নয়, হয়ে উঠেছে প্রয়োজনীয় পণ্য। তবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচের আশঙ্কায় অনেকেই এসি কেনা নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন নতুন মডেলের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি বাজারে ছেড়েছে। যা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।

ওয়ালটনের রিভারাইন সিরিজের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মডেলের এসির নাম দেয়া হয়েছে ‘সুপারসেভার’। আকর্ষণীয় ডিজাইনের ওই স্প্লিট এসিতে আরো সংযুক্ত হয়েছে স্মার্ট ইনভার্টার প্রযুক্তিসহ অত্যাধুনিক সব ফিচার। বর্তমানে ১.৫ (দেড়) টনের মডেল বাজারে এলেও খুব শিগগিরই ১ এবং ২ টনের মডেলগুলো পাওয়া যাবে। দেড় টনের সুপার সেভার মডেলের ওয়ালটন স্মার্ট ইনভার্টার এসিটির দাম মাত্র ৬৬,৪০০ টাকা।

ওয়ালটন এসি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর রহমান বলেন, সর্বাধুনিক্ত প্রযুক্তি ও ফিচারের সমন্বয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী এসি তৈরিতে ওয়ালটনের রয়েছে নিজস্ব আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম। যেখানে কাজ করছেন দেশ-বিদেশের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা। তাদের নিরলস গবেষণায় ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মডেলের এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় বাজারে ছাড়া হয়েছে সুপারসেভার মডেলের এসি। এই এসিতে পরিবেশের জন্য সহায়ক ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে এটি একদিকে যেমন পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে অর্থ সাশ্রয়ী।

ওয়ালটন এসির গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সন্দীপ বিশ্বাস জানান, সুপারসেভার মডেলের এসিতে ব্যবহৃত হয়েছে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সুপার ইফিসিয়েন্ট মাইক্রো চ্যানেল কনডেনসার। যা অধিক তাপ সঞ্চালন করতে পারে। এটি উচ্চ সিওপি (কো-ইফিশিয়েন্ট অব পারফরমেন্স) সমৃদ্ধ। এর ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার কম্প্রেসরের স্পিড রুমের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে এটি প্রয়োজন অনুযায়ী স্পিড কম-বেশি করে রুমের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখে। এতে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। এই এসিতে কম্পন এবং শব্দ কম হয়। এটি লো ভেল্টেজেও (মাত্র ১৪০ ভোল্ট) চলতে সক্ষম। 

সুপারসেভার এসিতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। যা পরিবেশের সুরক্ষায় ব্যাপক কার্যকরী। এসিটিতে আইওটি ফিচার থাকায় বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পাশাপাশি এসিটি কতক্ষণ ধরে চলেছে, কতটুকু বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে- এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা ও সংরক্ষণ করা যায়।

বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের গরমে ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার এসি। পাশাপাশি ডুয়েল ডিফেন্ডার, টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি থাকায় ওয়ালটন এসি হটকেক হয়ে উঠেছে। এ প্রযুক্তির এসি দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে।

গ্রাহকের হাতে উন্নত মানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসি তুলে দেয়ার পাশাপাশি বাড়তি ক্রেতা সুবিধাও দিচ্ছে ওয়ালটন। দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা ই-প্লাজা থেকে একটি এসি কিনে আরেকটি নতুন এসি সম্পূর্ণ ফ্রি পাওয়ার সুযোগ থাকছে। এছাড়া সবার জন্য রয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। আছে ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭ এর আওতায় এসব সুযোগ দিচ্ছে ওয়ালটন।

এদিকে অনলাইন ক্রেতাদের জন্য ‘এসি মিড সিজন ক্রেজি ডিল’ শীর্ষক সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন ই-প্লাজা। এর আওতায় ই-প্লাজায় ইনভার্টারসহ মোট ৪০টি নির্দিষ্ট মডেলের এসিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা।

ফ্রি এসি, নগদ ছাড়ের পাশাপাশি ক্রেতাদের ‘এসি এক্সচেঞ্জ’ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় গ্রাহকেরা যেকোনো ব্র্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের নতুন এসি ২৫ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পারছেন।  

ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, তাদের এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরে বাজারজাতকরা হয়। আর তাই এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

১, ১.৫ এবং ২ টনের স্প্লিট এসির পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আর বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ এবং চিলার।

দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন আড়াই হাজারেরও বেশি সার্ভিস এক্সপার্টস। পাশাপাশি প্রায় ৩০০ সার্ভিস পার্টনারের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসির গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। এদিকে ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানরা প্রতি ১০০ দিন পরপর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিসিং দিচ্ছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/এলএ)