পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে এগিয়ে ছয় প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা
| আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২০, ১৩:৪৭ | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০২০, ১৩:১৪

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচন আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আর এই উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ২৭ জন। এর মধ্যে মাঠে এগিয়ে রয়েছেন ছয়জন প্রার্থী।

তারা হলেন- ডিজিএফআই‘র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) নজরুল ইসলাম রবি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউর রহিম লাল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল আলম বুদু, আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন ও প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্ত্রী কামরুন্নাহার শরীফ ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বিশ্বাস ।

এদিকে শূন্য হওয়া এ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যারা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে সাবেক সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পরিবার থেকেই ছয়জন। তারা হলেন- প্রয়াত মন্ত্রীর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, মেয়ের স্বামী, সাংসদের ভগ্নিপতি ও খালাতো ভাই। তারা সাবেক ভূমি মন্ত্রীর এপিএস মনোনয়ন ফরম তুলে দলের কাছে দাখিল করেছেন। প্রয়াত মন্ত্রীর পরিবারে এত সংখ্যক সদস্যদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ করছে আওয়ামী লীগ।

সূত্র জানায়, দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করা ২৭ জনের মধ্যে অনেকেই তাদের ভুয়া রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়েছেন।

তথ্যমতে প্রয়াত মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পরিবারের মধ্যে আগেও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েও ঝামেলা হয়েছিল। এমনকি সংঘর্ষ ও এক পর্যায়ে মামলা হয়েছে। যার ফলে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। শামসুর রহমান শরিফ ডিলু প্রায় বাইশ বছর এক দুইজনকে নিয়ে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, অনেকেই নির্বাচন করতে আগ্রহী, দলীয় মনোনয়নের জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ভেতর থেকে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য বিবেচনা করবেন, তিনিই মনোনয়ন পাবেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক প্রবীণ নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং তরুণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে মা-ছেলের দ্বন্দ্ব। মা-মেয়ের যুদ্ধ। ভাই-বোনের মনোমালিন্য। প্রয়াত ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে খালাতো ভাইয়ের রেষারেষির সৃষ্টি রয়েছে ।

সব মিলিয়ে এ উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে স্থানীয় মাঠে যারা সক্রিয়, তাদের মধ্যে রয়েছেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন, প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্ত্রী কামরুন্নাহার শরীফ, পুত্র গালিবুর রহমান শরীফ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী জিরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ মঞ্জুর রহমান বিশ্বাস, সাবেক সাংসদ পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান বিশ্বাস, মৎস্যজীবীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, পৌর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা জালাল উদ্দিন তুহিন, বিএমএ নেতা শাহেদ ইমরান, সাবেক পিপি আক্তারুজ্জামান মুক্তা, ড. মুসলিমা জাহান ময়না প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :