সাতক্ষীরায় নতুন করে বেড়েছে বানভাসিদের দুর্ভোগ
সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের কপোতাক্ষ এবং খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানি কিছুটা (১ফুট) বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও লঘু চাপের প্রভাবে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ শুরু হওয়ায় এসব নদীর পানি বেড়েছে। যার ফলে জেলায় নতুন করে বেড়েছে বানভাসিদের দুর্ভোগ।
বিশেষ করে জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর (আংশিক) এবং শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা (আংশিক) ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম এখনও প্লাবিত। দেখা দিয়েছে তাদের মানবিক বিপর্যয়। এসব এলাকার হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি ভেসে গেছে। ধ্বসে পড়েছে শত শত কাঁচা ঘর-বাড়ি, ভেঙে পড়েছে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। এদিকে গবাদি পশু ও সাপ পোকামাকড় মারা গিয়ে পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। ইতোমধ্যে সরকারি ত্রাণ সহায়তা কেউ কেউ পেয়েছেন। আর যারা পাননি তারা যেন সহায়তা পান সে জন্য অবেদন জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৯৫ মেট্রিকটন চাল ও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাঁধ মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, লঘুচাপের প্রভাবে ভারীবর্ষণ শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/পিএল)