৩০ দেশের আয়োজনে গ্রেনেড হামলা দিবস নিয়ে আলোচনা

কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো
| আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২০, ২১:৫৫ | প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট ২০২০, ২১:৪৩

২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ছিল পরিকল্পিত এবং কোনোভাবেই সরকারের মদদ ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন। বিশ্বের ৩০টি দেশকে নিয়ে ২১ আগস্টের খুনিদের রায় কার্যকরের দাবিতে জার্মান আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি বসিরুল আলম চৌধুরী সাবুর সভাপতিত্বে এবং জার্মান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় এ আলোচনা সভা হয়।

জুম আলোচনায় সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস-সুইডেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, নরওয়ে, রাশিয়া, চেকরিপাবলিক, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, জাপান, মালয়েশিয়া, কুয়েত, দক্ষিণ কোরিয়া- বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল ও বিশেষজ্ঞ পরিষদ, ইউরোপসহ ৩০টি দেশের প্রবাসীরা এতে অংশ নেন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনার ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়, আহত করা হয় ৩৭০ জনকে। এ ধরণের হামলা নতুন কিছু নয়, বরাবরই শেখ হাসিনার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে। আল্লাহর রহমতে তিনি বেছে গেছেন, বরাবরই আল্লাহই তাকে রক্ষা করেছেন। বিএনপি-জামায়াতের চারিত্রিক বৈশিষ্টই হচ্ছে হত্যা। তারা ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট করেছে, ঠিক তেমনিভাবে ২০০৪ সালেও এমন হামলা চালিয়েছে। সব হামলা একই ধরনের।

এ কে মোমেন বলেন, মুজিববর্ষে আমরা একজন খুনিকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে পেরেছি। বাকিদেরও দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। পৃথিবীর যে সব দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পালিয়ে আছে আপনার খুনির বাড়ির সামনে গিয়ে আন্দোলন, প্রতিবাদ করুণ। আপনারা বলুন যে, এই বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর খুনি আছে। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অবস্থান বিষয়ে তথ্য দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান এবং ২১ আগস্টে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া-পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে তারেক রহমান সরাসরি জড়িত।

মূলত সেদিন আওয়ামী লীগের সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী। সেদিন আমাদের সমাবেশে বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রটোকল অনুয়ায়ী কোন প্রকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি আমাদের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে কোন প্রকার নিরাপত্তার জন্য অনুমতি দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, বিকাল ৫:৩০ মিনিটের দিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়ার সাথে সাথে আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই হামলা শুরু হয়। প্রথমে আমরা মনে করেছিলাম বোমা হামলা, পরে বুঝতে বাকি রইল না- সেগুলো ছিল গ্রেনেড হামলা। আর হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল যুদ্ধে ব্যবহার করা গ্রেনেড। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি সংঘবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যাই ছিল ভয়াবহ ওই গ্রেনেড হামলার লক্ষ্য। যুদ্ধে ব্যবহৃত সমরাস্ত্র দিয়ে নিরস্ত্র মানুষ এবং কোন রাজনৈতিক দলের সমাবেশে হামলার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায়। বিশ্বে গণতন্ত্র চর্চাকারী যে কোনও রাষ্ট্রে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এ ধরনের বর্বর হামলার নজির বিরল।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আপনারা যারা প্রবাসে আছেন তারা নিজ নিজ দেশের ভাষায় বাংলাদেশর ইতিহাস তুলে ধরুন, জাতির জনকের কথা, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা, সর্বপরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্ব দরবারে তুলে ধরুন।

বক্তার বিশ্বের এতগুলো দেশকে সংযুক্ত করে জার্মান আওয়ামী লীগের এমন আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও প্রধান উপদেষ্টা জার্মান আওয়ামী লীগ শ্রী অনিল দাশ গুপ্ত নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থা রাখার আহ্বান জানান।

সভায় সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ইউরোপে জামায়াত-বিএনপির অপপ্রচার প্রতিরোধ করতে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।

এছাড়াও জুম আলোচনা সভায় সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এম এ গনি, সাবেক প্রচার সম্পাদক খোকন শরীফ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, কানাডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ মিয়া, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সুদীপ সোম রিঙ্কু।

অষ্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিজ ফরাজী, সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গির কবির, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফারহাদ আলী খান, স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিজভি আলম, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি, শহীদুল হক, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তপন, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, সাইফুল ইসলাম কবির, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, ফ্রান্স আ.লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি, মোহাম্মেদ আবুল কাশেম, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, শ্যামল খান, গ্রীস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, সুইডেন আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক জুবাইদুল হক সবুজ, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল আহমেদ, সাবেক সহসভাপতি বদরুল ইসলাম, নরওয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, রাশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. বাহার পাটোয়ারী মোতাল্লেব, সহসভাপতি ডা. শেখ হাবীবুর রহমান, রাশিয়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন রাজিব, চেক রিপাবলিক আওয়ামী লীগের মামুন হাসান, ব্যবসায়ী, কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শেখ (হাসান), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোলায়মান (স্বপন), দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন মানিক, সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন, জাপান আওয়ামী লীগ সভাপতি জুয়েল তরফদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. জসিম উদ্দিন, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন, আহ্বায়ক রেজাউল করিম রেজা, যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদূর রহমান, রাশেদ বাদল , শাহীন সর্দার। সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, কবি আলমগীর হোসেন, প্রকৌশলী রাহাদ উজ্জামান, কুয়েত রাজ্য শাখা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম মিন্টু, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল ও বিশেষজ্ঞ পরিষদ, ইউরোপ (নর্ডিক)সভাপতি প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া ও সাংবাদিক কমরেড খোন্দকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক কারিগরি সহযোগিতায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল ও বিশেষজ্ঞ পরিষদ, ইউরোপ (নর্ডিক) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী হেদায়েতুল ইসলাম শেলী।

(ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :