রাজনৈতিক দলে নারী নেতৃত্ব ও ৩৩ শতাংশের বাধ্যবাধকতা

কাওসার রহমান
 | প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০২০, ১৩:০৭

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার বিধান নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। মাঝখানে ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন ২০২০'-এর এই ধারাটি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নারী নেতৃবৃন্দের আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত ওই ধারা তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে নির্বাচন কমিশন বরং এই ধারাটি তুলে না নিয়ে বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে সময় বেঁধে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের ৭০তম সভায় নতুন এই আইনের খসড়া উত্থাপন করা হয়। সভায় প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে খসড়া আইনটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই খসড়াতেই ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব বাস্তবায়নে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন করে বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে। যদিও এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে এই সময়সীমার বাধ্যবাধকতা নিয়ে দ্বিমত আছে। একাধিক নির্বাচন কমিশনার এই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে ২০৩০ সাল করার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে সে মত না মানা হলেও রাজনৈতিক দলগুলো ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার জন্য কমপক্ষে আরও ৫ বছর সময় দেওয়া হচ্ছে, এটা প্রায় নিশ্চিত।

আবার এখানেও একটি ফাঁক রাখা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আইনের যে খসড়া পাঠানো হয় সেখানে কমিটিতে নারী সদস্য রাখার সময়সীমার কথা বলা হয়নি। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ওপর জোর দেওয়া হবে বলেই মনে হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো যে মতামত দেবে তার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে কমিশন বৈঠক করে আইনের খসড়াটি চূড়ান্ত করবে। পরবর্তী সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর জাতীয় সংসদে যাবে আইনটি পাসের জন্য। সেখানে পাস হওয়ার পর কার্যবিধি প্রণয়ন সাপেক্ষে তা বাস্তবায়নে যাবে। এটি এখনও একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।

আবার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই বিধানটি বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। কোনো কোনো দল বলছে, সময়সীমার বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। আবার কোনো কোনো দল বলছে, সময়সীমার বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। ধর্মীয় তথা ইসলামিক দলগুলোর কথা বাদ দিলে দেশের প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক দলগুলোর মধ্যে এই বিধান বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। সবাই চায় চাকরির ক্ষেত্রে যেভাবে মেয়েরা এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বেও সেভাবে নারীদের এগিয়ে আসা উচিত।

আর ধর্মীয় তথা মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলো তো শুরু থেকেই এই বিধানের বিরোধিতা করে আসছে। তারা যেসব খোঁড়া যুক্তি দেখাচ্ছে তা দেশের সংবিধান ও স্বাধীনতার মূল নীতির স্বপক্ষে নয়। তারা এখনও চায় মেয়েদের ঘরের ভেতর বন্দি করে রাখতে। যদিও তাদের আদর্শের দেশ সৌদি আরবও এখন সেই অবস্থান থেকে অনেক সরে এসেছে। গাড়ি চালানোর অনুমতি, নির্বাচনের অধিকার, পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাইরে যাওয়াÑ কয়েক দশক আগে সৌদি নারীদের ক্ষেত্রে এসব ভাবাই যেত না। এসব অধিকার পাওয়া তাদের কাছে ছিল স্বপ্নের মতো। সৌদি বাদশাহ সালমান ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সিংহাসনের উত্তরসূরি করার পর থেকে দেশটিতে যেন বদলের হাওয়া লেগেছে।

প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কার কর্মসূচি ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বর্তমানে সৌদি নারীরা বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছেন। কর্মক্ষেত্রে সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে নারীর সংখ্যা ২২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মোট জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশ করতে চায় দেশটি।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এখন বিপুলসংখ্যক ছাত্রীকে স্কুলে যেতে দেখা যায়, ৬৫ বছর আগে যা ভাবাই যেত না। সৌদির মেয়েদের প্রথম স্কুল দার আল হানান। আর রিয়াদ কলেজ অব এডুকেশন সৌদি নারীদের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি ১৯৭০ সালে চালু হয়। দেশটির নারীদের পরিচয়পত্র পাওয়ার অগ্রাধিকার দেওয়া হয় একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে এসে। সৌদি আরবে নারীদের পরিচয়পত্র নিতে হলে আগে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হতো। ২০০১ সাল থেকে সৌদি নারীরা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই পরিচয়পত্র নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

২০০৫ সালে সৌদি আরবে নারীদের জোরপূর্বক বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় সরকারে প্রথম নারী মন্ত্রী নিয়োগ করেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। নূরা আল কায়েজ নারীবিষয়ক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সে বছর সরকারে যোগ দেন। ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে অংশ নেন সৌদি নারীরা। তাদের মধ্যে সারাহ আত্তার নারীদের ৮০০ মিটার দৌড়ে লন্ডন অলিম্পিকের ট্র্যাকে নেমেছিলেন হিজাব পরে। আসর শুরুর আগে নারীদের অংশগ্রহণ করতে না দিলে সৌদি আরবকে অলিম্পিক থেকে বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। ওই বছরই সাইকেল ও মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি পান সৌদি নারীরা। তবে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায়, ইসলামী রীতিতে পুরো শরীর ঢেকে এবং কোনো পুরুষ আত্মীয়ের উপস্থিতিতে তা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবের রক্ষণশীল কাউন্সিল ‘শূরা’য় প্রথমবারের মতো ৩০ জন নারীকে শপথ বাক্য পাঠ করান বাদশাহ আবদুল্লাহ। ২০১৫ সালে সৌদি আরবের পৌরসভা নির্বাচনে নারীরা প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নিউজিল্যান্ড নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিল ১৮৯৩ সালে, জার্মানিতে তা চালু হয় ১৯১৯ সালে। আর ২০১৫ সালে সৌদি আরবের ওই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০ জন নারী।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব দেশটির স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারপারসন হিসেবে সারাহ আল সুহাইমির নাম ঘোষণা করে আরেক ইতিহাস সৃষ্টি করে। ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে। ২০১৮ সালের জুন মাসে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে। ফলে গাড়ি চালাতে সৌদি নারীদের আর কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে না। এছাড়া গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাচ্ছেন তারা।

সৌদি আরবের সঙ্গে তুলনা করলে একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দেয় তা হলো ওই দেশটি যদি কর্মক্ষেত্রে তাদের নারীর সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে মোট জনশক্তির ৩৩ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা করতে পারে, তা হলে রাজনৈতিক দলের প্রত্যেক স্তরের কমিটিতে নারী নেতৃত্ব ৩৩ শতাংশে উন্নীত করতে আমাদের ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কেন? আমাদের তো এটা অনেক আগেই হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কেন আমরা এটা পারলাম না, এই ব্যর্থতাও খতিয়ে দেখা উচিত, যেখানে ১৯৯১ সাল থেকে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদটি অলংকৃত করছেন নারীরা। সেই থেকে সরকার ও বিরোধী দলীয় নেত্রী পদে রয়েছেন নারী। সাম্প্রতিককালে তো প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, স্পিকার, এমনকি সংসদের বাইরে অবস্থানকারী প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বেও নারী রয়েছে। সচিব পদেও নারী নেতৃত্ব চলে এসেছে। কিন্তু এ সবের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বের যতটা অগ্রগতি হওয়া উচিত ছিল এখন পর্যন্ত ততটা হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারী নেতৃত্ব তৈরির জন্য নারী ভাইস চেয়ারম্যান কিংবা নারী কাউন্সিলের পদ সৃষ্টি করে সেখানে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে। কিন্তু জাতীয় সংসদেও নারী সংসদ সদস্যদের মতো তারা অলংকারিকভাবেই পদে বহাল আছেন। কিন্তু তাদের কোনো কাজ নেই। ফলে জাতি তাদের কাছ থেকে কিছু পাচ্ছে না। অথচ সব হিসাবেই দেখা গেছে, নারীরা পুরুষদের চেয়ে পরিশ্রমী ও কর্মঠ হয়। তারা পুরুষদের মতো কাজে ফাঁকি দেন না।

২০০৮ সালে দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ে নারী নেতৃত্বের পরিমাণ ছিল গড়ে ১০ শতাংশ। ওই সময় ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এসেও দেখা যায়, কোনো রাজনৈতিক দলই এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। যেসব রাজনৈতিক দলে নারী নেতৃত্ব তুলনামূলকভাবে বেশি, তাদের পরিমাণও ২০ শতাংশের বেশি নয়।

সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী নারী নেতৃত্বের এই বিধানটি না মানলে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের ক্ষমতাও ছিল নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। ওই সময় ধারণা করা হচ্ছিল, তেমন কঠোর পদক্ষেপ না নিলেও ইসি হয়তো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সময় বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু ওই এপ্রিল-মে মাসে এসে ইসি জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য আলাদা একটি আইন করতে যাচ্ছে তারা। তখন ওই আইনের একটি খসড়াও প্রকাশ করা হয়। সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে ওই খসড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব কার্যকরের বিধানটির সময়সীমাই তুলে দেওয়া হয়। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকসহ বিভিন্ন মহল থেকেই এ সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি।

কারণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী রাখার আইন তুলে নেওয়া হবে এ সমাজ তথা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এটি সংশোধন করা হলে সমাজে নারীরা আরও পিছিয়ে পড়বে এবং সমাজে নারী ক্ষমতায়ন ও সমতায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তখন সমালোচনার মুখে ইসি বিধানটি সংশোধন করে তা কার্যকরের জন্য সময় বাড়িয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় অনুমোদিত খসড়ায় সেটিরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। অনুমোদিত খসড়ায় আরও পাঁচ বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনে সময় কি দাঁড়ায় সেটি এখন দেখার বিষয়?

তবে শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই নারী নেতৃত্বের সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত। কারণ, এটি বাস্তবায়ন করবে রাজনৈতিক দলগুলোই। এক্ষেত্রে একবারেই ১০ বছর মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া সঠিক হবে না। ধাপে ধাপে বাড়ানো যেতে পারে। প্রথম পাঁচ বছর এবং দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচ বছর সময় দিয়ে ২০৩০ সালেই হতে হবে শেষ সময়। এর মধ্যে কোনো রাজনেতিক দল এই শর্ত পূরণ করতে না পারলে তার নিবন্ধন অবশ্যই বাতিল করতে হবে। এমনিতেই আমাদের দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ভালো না। তার মধ্যে যদি সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়, তাহলে নারীদের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। বিভিন্ন দেশে যখন নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত করছে, তখন বাংলাদেশ থেকে এগুলো বাদ দেওয়া হবে বোকামি। ইতোমধ্যে ১০ বছর সময় পেরিয়ে গেছে। আরও ১০ বছর সময় সামনে থাকবে। ২০ বছর নারী নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়। আর নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নারী পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে কমিটির আকার ছোট করতে হবে। প্রতিটি পর্যায়ে কমিটির তালিকা দীর্ঘ হওয়ার কারণে নেতা হওয়ার সুবাধে স্থানীয় পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত অনেকেই অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। আরও একটি আশ্চর্যের বিষয় হলো, কেন্দ্রীয় পর্যায় ছাড়া আর কোনো পর্যায়েই কমিটির বৈঠক হয় না। কমিটির বৈঠকই হচ্ছে নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ। সেই সুযোগটাই পাচ্ছে না স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকই প্রতিটি কমিটিকে জিম্মি করে রাখছে। তাদের খেয়াল-খুশি মতো কমিটি চলছে। কমিটির বৈঠক না হওয়ায় গণতান্ত্রিক চর্চাও হচ্ছে না কোনো পর্যায়েই। এই বিষয়টির দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর নজর দেওয়া উচিত। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে নগর পর্যন্ত প্রতিটি কমিটি বছরে কতবার বৈঠক করবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে প্রতিটি বৈঠকের কার্যবিবরণী কেন্দ্রে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা উচিত। তা হলে কেন্দ্র থেকে তাদের নজরদারি করতে সুবিধে হবে।

সর্বোপরি, নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে চাপে রাখতে হবে। চাপে না রাখলে তা কোনোকালেই অর্জিত হবে না। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী যেখানে নারী, সেখানে রাজনীতিতে তাদের অবজ্ঞা করার উপায় নেই। বরং নারীরাও দেশকে আরও ভালো কিছু দিতে পারবে। সে লক্ষ্যে তাদের মেধা, প্রজ্ঞা ও নেতৃত্ব কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া উচিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :