গুমের শিকার নেতাকর্মীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি বিএনপির
আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর নানা আয়োজন করে থাকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। তবে করোনার কারণে এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গুম হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে বাসায় বাসায় গেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় দলের বা সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের দেয়া হয়েছে সহায়তা।
দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নানা সময়ে গুম হওয়া নেতাকর্মীদের বাসায় যান নেতারা। তাদের কাছে পেয়ে অনেকের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় তাদের সান্ত্বনা দেন নেতারা। আশ্বাস দেন সবসময় পাশে থাকার।
বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদল সভাপতি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও গুম হওয়া আলোচিত বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর বড় ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস এসব পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে যান।
এসময় তারা পরিবারের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটান, তাদের জন্য ফলমূলসহ বিভিন্ন ধরনের শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।
জানা গেছে, বিএনপি নেতারা সাবেক কমিশনার চৌধুরী আলম, সুত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল, একই এলাকার সম্রাটের বাসায় যান। এরপর ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা পিন্টুর সুত্রাপুরের বাসা, বংশাল পুকুর পাড় এলাকার গুমের শিকার জহির, চঞ্চল, সোহেল ও পারভেজের বাসায় গিয়ে সমবেদনা জানান। এছাড়া দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারেরও বাসায় যান বিএনপি নেতারা।
এছাড়া গ্রেপ্তারের পর কারাগারে মৃত্যুবরণ করা খিলগাঁও থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান জুয়েলের বাসায়ও যান বিএনপি নেতারা।
গুমের শিকার একজন ছাত্রদল নেতারা বাসায় গিয়ে বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল স্বজনদের বলেন, ‘যাদের গুম করা হয়েছে নিশ্চয়ই জনগণের সরকার ক্ষমতায় আসলে তাদের সন্ধান মিলবে। তাদের উদ্ধার করা হবে। আর যদি কাউকে না পাওয়া যায় তাদের গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
স্বজনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সবসময় পাশে আছি। যেকোনো সমস্যায় আপনারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমরা সাধ্যমত সহায়তা করার চেষ্টা করবো।’
এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির গত নির্বাচনের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা গুমের শিকার হয়েছেন বিএনপির কখনো সুযোগ হলে অবশ্যই এসব পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। সেটা সরকারিভাবে এবং দলীয়ভাবেও। এছাড়াও গুমের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/বিইউ/জেবি)