সুশান্ত-কাণ্ডে বিতর্কে মোদির বায়োপিক নির্মাতা

বিনোদন ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট ২০২০, ০৮:৫৬
ছবিতে সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে সন্দীপ সিং

বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতদন্ত ভারতীয় রাজনীতির বড়সড় বিতর্ককে সামনে নিয়ে এসেছে। অভিনেতার মৃত্যু ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ইডির তদন্তে নাম উঠে এসেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক-এর প্রযোজক সন্দীপ সিংয়ের।

সূত্রের দাবি, সুশান্তের প্রেমিকা অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে মুম্বাইয়ের মাদক চক্রের সঙ্গে সন্দীপের যোগের কথা সামনে আসে। ইডির তরফ থেকে সিবিআইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, বলিউড ও মাদকচক্রের সঙ্গে সন্দীপের যোগ নিয়ে তিনি বহু অভিযোগ পেয়েছেন। মোদীর বায়োপিক, ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র প্রযোজক সম্পর্কে এই সব অভিযোগের তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে চিঠি লিখতে চলেছেন তিনি।

মুম্বাইয়ে দেশমুখ সরব হতেই দিল্লিতে কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও সন্দীপ ও বিজেপির যোগ নিয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন তুলেছেন। শুধু সন্দীপই নন, মোদিকে ঘিরে প্রচারের আলোয় এসেছেন, এমন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে নিয়ে এসেছেন।

সন্দীপ-বিতর্কে সিঙ্ঘভি দশটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সন্দীপ নিজেকে সুশান্তের বন্ধু বলে দাবি করেন। আর সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কয়েক সপ্তাহে বিজেপির মহারাষ্ট্রের দপ্তরে ৫৩ বার ফোন করেছেন সন্দীপ। তার রক্ষাকর্তা কেউ রয়েছে কি না, তা সামনে আসা উচিত।

সিঙঘভির কথায়, ‘লোকসভা ভোটের মধ্যেই মোদিকে নিয়ে বানানো সিনেমাটি মুক্তি পেতে চলেছিল। মামলা করে সেই সময়ে ছবির মুক্তি আমিই আটকেছিলাম। কিন্তু মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের উপস্থিতিতে ছবির পোস্টার দেশের সামনে এসেছিল।’

এই কংগ্রেস নেতার দাবি, সন্দীপ সিংই একমাত্র প্রযোজক, যিনি গত বছর ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর প্রচারে ১৭৭ কোটি টাকার মউ সই করেছেন। অথচ সরকারকে তিনি জানান, ২০১৭ সালে তার সংস্থা ৬৬ লাখ টাকা লোকসান করেছে। ২০১৮ সালে ৬১ লাখ টাকা লাভ, ২০১৯ সালে ৪ লাখ টাকা লোকসানে চলেছে সন্দীপের সংস্থা।

অথচ সেই লোকসানে থাকা সংস্থাই গত বছর ১৭৭ কোটি টাকার মউ সই করেছে গুজরাট সরকারের সঙ্গে। কংগ্রেস নেতা বলেন, সংবাদমাধ্যমের খবর, সন্দীপ নাকি ভারত ছেড়ে চলে যেতে পারেন। ফলে তার গড ফাদার কে বা কারা, তা এখনই নিতিন গডকড়ী, ফডণবীসের মতো নেতাদের দেশের সামনে স্পষ্ট করা উচিত।

শুধু সন্দীপই নন। কংগ্রেস নেতার দাবি, মোদির স্যুট কিনে প্রচারের আলোয় আসা লালজিভাই প্যাটেল ও তার পরিবার গুজরাটে করোনোর আগেই বড় মাপের ভেন্টিলেটর কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছেন। আর ‘অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইটি নিয়ে যিনি সিনেমা করেছেন, তার বাবার নাম জড়িয়ে গেছে ৩০০ কোটি টাকার কৃষি কেলেঙ্কারিতে। এসব প্রশ্ন নিয়ে বিজেপির থেকে জবাব চেয়েছে কংগ্রেস। সূত্র: আনন্দবাজার

ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :