ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের বিরুদ্ধে চার্জগঠন ২৯ অক্টোবর
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিককে আশি লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার করা মামলায় আগামী ২৯ অক্টোবর চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আসামির বিরুদ্ধে গত ২৪ আগস্ট দাখিল হওয়া চার্জশিট গ্রহণ করে এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন গত ২৪ আগস্ট এ চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। গত বছর ২৮ জুলাই বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন নর্থ রোডের (ভূতেরগলি) ২৭-২৮/১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে গোপাল বণিক পার্থের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করেন।
পরে গত ২৯ জুলাই দন্ডবিধির ১৬১, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় এ মামলা করে দুদক।
২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর, এক কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক ও ফেনসিডিলসহ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন থেকে গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রামের তখনকার জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস। ওই সময় তিনি গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে নিজের ঘুষবাণিজ্যের পেছনে সহায়ক শক্তি হিসেবে ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের নাম বলেন।
সেই থেকে কারাগারের বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। উঠে আসে কারাগারকে মাদকের হাট বানানোর গল্প। আর সেই গল্পের সূত্র ধরে দুদকের অনুসন্ধানী টিম সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে পার্থ গোপালকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে গত ২৮ জুলাই দুপুর ২টার দিকে ফ্ল্যাটে অভিযানে গেলে ফ্ল্যাটে না ঢুকতে দিয়ে বণিকের স্ত্রী চিকিৎসক রতন মনি সাহা প্রায় দুই ঘণ্টা দুদক টিমের সঙ্গে টালবাহানা করেন।
প্রথমে দুদক সদস্যদের মোবাইল ফোনে বলেন, ‘পার্থ বাসায় নেই, মিরপুরে আছেন। সেখান থেকে ফিরতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে।’ অথচ ওই সময় পার্থ ফ্ল্যাটেই ছিলেন। এরপর দুদক টিম বিকল্পভাবে ভেতরে প্রবেশের কথা জানালে দরজা খুলে দেন মনি সাহা। তবে দরজা খুলার আগেই বাসায় রাখা ওই ৮০ লাখ টাকা দুটি বস্তায় ভরে পাশের বাসার ছাদে ফেলে দেন পার্থর স্ত্রী। পরে তাকে নিয়েই ওই টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই পার্থ গ্রেপ্তার হন এবং এরপর থেকে কারাগারেই আছেন।
(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/কেএম)