সাতক্ষীরায় বেস্ট টিমের মিলি-মোস্তাফিজ কারাগারে
সাতক্ষীরায় বেস্ট টিমের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী শাহানাজ পারভিন মিলির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এক ট্রলি চালকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট এবং সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যের স্বামীর ছবি ব্যবহার করে অবৈধ বেস্ট টিম নামে ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সম্মান হানি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদরের পরানদহ গ্রামের আলমগীর হোসেন ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহফুজা সুলতারা রুবি বাদি হয়ে যথাক্রমে রোববার ও মঙ্গলবার সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা দুটি করেন।
এ দু’টি মামলায় দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান বিশ্বাসের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য শাহানাজ পারভিন মিলিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত ২৮ আগস্ট কুলিয়া গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত মাছুরাকে নিয়ে তার স্বামী সদর উপজেলার পরানদহের ট্রলি চালক আলমগীর হোসেনের বাড়ির দরজা, শোকেজ ও আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, সোনার গহনা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার রাতে মামলা হয় সদর থানায়। মামলায় বেস্ট টিমের মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য শাহানাজ পারভিন মিলি, কুলিয়া ইউপি সদস্য মোশরারফ হোসেন, মাছুরা খাতুন ও পরানদহের আবুল হোসেনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের পলাশপোলের ভাড়া বাসা থেকে মিলি ও মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গত ২২ আগস্ট ও ২৪ আগস্ট ফেসবুকে আপত্তিকর মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে জেলা পরিষদ সদস্য মাহফুজা সুলতানা রুবি বাদি হয়ে মঙ্গলবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় দেবহাটার কুলিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান, তার স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য শাহানাজ পারভিন মিলি, শেখ আব্দুস শহীদ চঞ্চল, উজ্জ্বল ও তুহিন খান ওরফে রানাকে আসামি করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১সেপ্টেম্বর/কেএম)