২২ দিন পর অগ্নিদগ্ধ সেই কলেজছাত্রীর মৃত্যু

মাগুরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৩৯

২২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মাগুরার মহম্মদপুরের কেড়িনগর গ্রামের অগ্নিদগ্ধ কলেজছাত্রী আকলিমা খাতুন মারা গেছেন। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আকলিমা কেড়িনগর এলাকার আকরাম হোসেনের মেয়ে। তিনি কাজী সালিমা হক মহিলা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে একই গ্রামের মাসুদ মোল্যার ছেলে নাজমুল মোল্যার সঙ্গে আকলিমা খাতুন (১৮) প্রেমের পরিণয় দিতে নিজেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন পরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। দাম্পত্য সম্পর্কে বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের সাত মাসের মাথায় আকলিমা স্বামী নাজমুলকে তালাক দেয়। বিষয়টি নাজমুল মেনে নিতে পারেনি। কিছুদিন পর থেকে নাজমুল আবারো আকলিমাকে বিয়ে প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। আকলিমা তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নাজমুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার শরীরে এসিড মারা ও ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়াসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। বিষয়টি আকলিমা তার পরিবারকে জানায়। এরই মধ্যে গত ১৫ আগস্ট রাতে বাড়ির মধ্যে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে আকলিমা শৌচালয়ে যাওয়ার কথা বলে উঠে আসে। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নাজমুল ও তার লোকজন আকলিমাকে ধরে তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে শরীর বেঁধে জ্বালানি ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তেই আকলিমার শরীরে বিভিন্ন অংশ আগুনে পুড়ে যায়। এ সময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে বাঁধা অবস্থায় আকলিমার শরীরে আগুন জ্বলতে দেখতে পায়। তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ১৭ আগস্ট ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর ১৭ আগস্ট আকলিমার দাদা রতন মোল্যা সাতজনকে আসামি করে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আরিফ মোল্যা, হারেজ মোল্যা, মাসুদ মোল্যা, কামরুল হাসান ও বাবুল মোল্যা। তবে মূল অভিযুক্ত নাজমুল এখনো পলাতক রয়েছেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস আকলিমার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার পাঁচ আসামি এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২সেপ্টেম্বর/এএস/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :