হত্যার উদ্দেশ্যেই ঘোড়াঘাট ইউএনওর ওপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
 | প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:৩৮

পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যেই দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট ইউএনওর ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিশেষজ্ঞারা। উপর্যুপরি হামলার পর ইউএনও ওয়াহিদা খানম মারা গেছেন, তা অনুমান নিশ্চিত করেই দুর্বৃত্তরা স্থান ত্যাগ করেছেন। এমনটা ভাবছেন বিশেষজ্ঞ দল। বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভুইয়া, পুলিশের ডিআইজি দেবদাশ ভট্রাচার্য, র‌্যাব-১৩ অধিনায়ক কমান্ডার লে.ক.রেজা আহমেদ ফেরদৌসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ওয়াহিদা খানমের উপর দুর্বৃত্তদের নৃশংস হামলার মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম। ইউএনওর ভাই ফরিদ শেখ এই মামলার বাদি হবেন।

ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সযোগে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্সস অ্যান্ড হসপিটালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ইউএনওর মাথার বাম দিকে বেশি আঘাত লেগেছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ধাতব কোনো বস্তু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তার শরীরের ডান দিক অবশ হয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার বাবা চিকিৎসাধীন রয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ইউএনওকে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে তার সরকারি বাসভবনে। দুজন দুর্বৃত্ত মইয়ের সাহায্য দ্বিতীয় তলার বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে তার বাসভবনে ঢুকে। প্রথমে বাসায় অবস্থানরত নওগাঁ থেকে আসা ইউএনওর বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর শেখকে মারধর করে বাথরুমে আটকে রাখে৷

এরপর দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হাতুড়ি ধরনের কোনো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে কোনো কিছু নিয়ে যায়নি তারা।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং প্রশাসনের ধারনা, ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হত্যার উদ্দেশ্যেই দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে। তবে কী কারণে তা এখনো জানা যায়নি।

ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, দুর্বৃত্তদের ধরার প্রক্রিয়া চলছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইউএনও ওয়াহিদার স্বামী মো. মেজবাহুল হোসেন পার্শ্ববর্তী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন।

ঘটনার আগেই নৈশ্য প্রহরীকে বাসভবনের একটি ঘরে তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। নিচতলার আরেকটি ঘরে কাজের মেয়েও ছিল।

এদিকে এ ঘটনার পর ইউএনওর বাসভবনে ঘরের মেঝে এবং বিছানায় তাজা রক্ত পাওয়া গেছে। প্রচুর রক্ত গেছে ইউএনওর শরীর থেকে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও তোলপাড় শুরু হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩সেপ্টেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :