মাদক-কাণ্ডে শিল্পাদের নামও জড়াচ্ছে

বিনোদন ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:২৭

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু-কাণ্ডে মাদক চক্রের যোগ প্রকাশ্যে আসতেই ঘুম উড়েছে অনেকের। এ নিয়ে সরগরম বলিউড। কঙ্গনা রানাউত সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্ট ভাবে দাবি তুলেছেন রণবীর কাপুর ও রণবীর সিংয়ের ড্রাগ পরীক্ষার জন্য। মাদক-কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ভারতের নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) বসিত পরিহার নামে বান্দ্রার এক বাসিন্দাকে গ্রেপ্তারও করেছে। এবার একই কাণ্ডে নাম জড়াচ্ছে অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির পরিবারেরও।

এই ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত গৌরব আর্যকে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েক বার ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। তাতেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে শিল্পার পরিবারসহ বলিউডের আরও বেশ কয়েকটি বড় নাম। এনসিবির দাবি, বসিত নামে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। শৌভিকের নির্দেশেই এই বসিতের কাছ থেকে সুশান্তের জন্য মাদক জোগাড় করতেন স্যামুয়েল।

যদিও গৌরব আর্য ইডিকে জানিয়েছেন, রিয়ার সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে তার যোগাযোগ ছিল না। রিয়ার সঙ্গে ২০১৭ সালে এক হোটেলে দেখা হয়েছিল তার। রিয়া নাকি তাকে মাদক সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তাকে মাদক সম্পর্কিত কোনো তথ্য দেননি।

গৌরবকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই উঠে এসেছে আরও এক নাম। তিনি কুনাল জানি। বান্দ্রার এক হোটেল ব্যবসায়ী। উঠে এসেছে এক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের কথাও। আর তাতেই জড়িয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির পরিবার। শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রার নামও উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।

জানা যাচ্ছে, কুনাল জানি যে হোটেল চালাতেন তার অংশীদার ছিলেন রাজ কুন্দ্রা। ইতোমধ্যেই কুনালকে জিজ্ঞাসবাদ করেছে ইডি। হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপটির সদস্য ছিলেন রিয়াও। রিয়ার সঙ্গে গৌরবের ড্রাগ আদান প্রদানের চ্যাট ফাঁস হয়েছে ইতোমধ্যেই। বলিউডে ফিসফাস, কুনাল নাকি প্রত্যক্ষ ভাবে ড্রাগ পাচারে জড়িত ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, হোটেলের অংশীদার রাজ কুন্দ্রা কি এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না?

অন্যদিকে এনসিবির গোয়েন্দারা গেল মঙ্গলবার বসিতকে জেরা করে আরও একজন নতুন ড্রাগ পাচারকারী জাহিদ ভিলাত্রার খোঁজ পায়। জাহিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার গোয়া থেকেও ফৈয়াজ আহমেদ নামে এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে নতুন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, যেখানে এক মাদক পাচারকারীর সঙ্গে রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর কথোপকথন ধরা পড়েছে। ‘ডুবিস’, ‘বুম’সহ একাধিক ‘কোড ল্যাঙ্গুয়েজ’-এর মাধ্যমে শৌভিকের সঙ্গে তার মাদকের লেনদেন চলত বলে জেরায় দাবি করেছে জাহিদ। গোয়েন্দাদের অনুমান, ধৃতদের সঙ্গে বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকার যোগ থাকতে পারে।

চ্যাট থেকে জানা গেছে, শৌভিক এক ড্রাগ পাচারকারীর থেকে ‘বুম’ (এক ধরনের ড্রাগ) চেয়েছে, ‘ড্যাডে’র জন্য। যদিও এই ‘ড্যাড’ তার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, নাকি ‘ড্যাড’ বলতে অন্য কাউকে বুঝিয়েছেন শৌভিক, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেই চ্যাটে লেখা ছিল, ‘ভাই, ড্যাড বুম চাইছে। বুঝতে পারেনি ওর মাল শেষ হয়ে গেছে।’ জবাবে সেই ড্রাগ পাচারকারী বলেন, তার স্টক শেষ, আগামীকাল শৌভিককে তিনি মাল দিয়ে দেবেন। শৌভিকের এই চ্যাট প্রকাশ্যে আসার পরেই চাঞ্চল্য বেড়েছে বলিপাড়ায়।

অন্যদিকে রিয়ার সঙ্গে মাদক নিয়ে জেরায় উল্লেখিত জাতীয় স্তরের এক বিলিয়ার্ড এবং স্নুকার খেলোয়াড়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজস্থানের উদয়পুরের এক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে ওই খেলোয়াড়ের সঙ্গে রিয়ার পরিচয় হয়। তার পর থেকে দুজনের মাদক নিয়ে কথা হত।

বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেতারা যে ঘরোয়া পার্টিতে মাদক নিয়ে থাকেন, সে গুঞ্জন মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। তবে প্রমাণের অভাবে তা প্রায়শই থেকে যায় অন্তরালে। সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু যেন হঠাৎই সমস্ত চাকচিক্যের আড়াল ভেঙে দিয়েছে। প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নানা অজানা তথ্য।

ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :