ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ঝন্টু-ইস্পাহানীকে নোটিশ

বিনোদন প্রতিবেদক
| আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫৬ | প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৪৬

২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বীর সৈনিক’ নামক একটি ছবির নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মুরাদ গতকাল নোটিশটি পাঠান। নোটিশে অপর দুই বিবাদী হলেন এসআইএস মিডিয়ার কর্নধার এম এন ইস্পাহানী এবং লাভা মুভিজের কর্ণধার জাহাঙ্গীর। নোটিশে সিনেমা থেকে ইতিহাস বিকৃতি অংশটুকর প্রচার ও প্রদর্শন কেন স্থগিত করা হবে না মর্মে জানতে চেয়ে এক মাসের সময়ও বেধে দেওয়া হয়েছে।

তবে নোটিশের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের থেকে জানতে পেরে আইনি নোটিশ প্রদানকারী এটিএম মাকসুদুল হক ইমুর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে সাইট থেকে সরিয়ে ফেলেছেন এম এন ইস্পাহানী।

জানা গেছে, সিনেমাটিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও পুরো চলচ্চিত্রের কোথাও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করা ও মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য সিনেমাটির প্রচার ও প্রদর্শন স্থগিত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এটিএম মাকসুদুল হক ইমু।

এ ব্যাপারে এটিএম মাকসুদুল হক ইমু বলেন, বাংলা চলচ্চিত্র ‘বীর সৈনিক’-এ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও পুরো চলচ্চিত্রের কোথাও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করায় এই সিনেমার প্রচার ও প্রদর্শন স্থগিত চাই। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রের কোথাও ৭ মার্চ সম্পর্কে উল্লেখ নেই। এসএস মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউবে সিনেমাটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে অভিনেতা যখন ৭ মার্চের কথা বলেন ঠিক তখন থেকে সিনেমাটির কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। যা স্পষ্ট দৃশ্যমান।

আমার কথা হলো, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের কী কোনো গুরুত্ব ছিল না? নাকি ৭ মার্চ না এসে হঠাৎ ২৬ মার্চ এসেছিল? এই সিনেমার সব থেকে বিকৃত ও বাজে দৃষ্টান্ত হলো সিনেমার ৫৭ মিনিট ১ সেকেন্ড থেকে ৫৭ মিনিট ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত। এই অংশে অভিনেতা বলছেন ‘চিটাগাং রেডিওতে আমাদের বাঙ্গালি মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’ এর মানে ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’! এটা কি ইতিহাসের বিকৃতি নয়?

তিনি আরো বলেন, যেহেতু দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এই সিনেমার পরিচালক, রচয়িতা ও প্রযোজক তাই এর দায় তিনিও এড়াতে পারেন না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ মার্চের আগে এসএস মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক এম এন ইস্পাহানীর সঙ্গে সাক্ষাত করি এবং বিতর্কিত অংশটুকু সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে ইউটিউবে পুনরায় মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ করি। তখন মৌখিকভাবে সম্মতি দিলেও পরবর্তীতে এই বিতর্কিত অংশ বাদ দেওয়া হয়নি।

আইনি নোটিশের অনুলিপি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ডকেও পাঠানো হয়েছে- যোগ করেন ইমু।

এদিকে এ ব্যাপারে এসআইএস মিডিয়ার কর্ণধার এম এন ইস্পাহানী বলেন, এখনও আইনি নোটিশ পাইনি। উনি (ইমু) মৌখিকভাবে একবার বলেছিলেন। তখন আমিও বলেছিলাম বিতর্কিত অংশটুকু ছেটে ফেলবো। কোন অংশটুকু ফেলবো এটা ওই সময় বুঝতে পারিনি। ওনার নম্বরটা না থাকায় যোগাযোগও করতে পারিনি। তবে আজ যখন সাংবাদিক ভাইদের কাছে বিষয়টি জানতে পারি তখন তার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলি। ইতিমধ্যে আমার সাইট থেকে ছবিটি সরিয়ে নিয়েছি। এডিট করে পরে পুনরায় আপলোড দেবো।

এটিএম মাকসুদুল হক ইমু বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এটিএম মঞ্জুরুল হকের জ্যৈষ্ঠপুত্র। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেত্রকোনা জেলা শাখার সাবেক উপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক।

ঢাকাটাইমস/৪সেপ্টেম্বর/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :