বৃদ্ধা বেগমের দায়িত্ব নিলেন এমপি মোশারফ

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:০৯ | প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৪৮

জন্মের পাঁচবছর বয়সে টায়ফয়েডে আক্রান্ত হয়ে নিভে গেছে বেগমের চোখের আলো। এখন তার বয়স ৭০ ছাড়িয়েছে। নেই কোনো সন্তানসন্ততি। ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালানো ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন। বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়া বেগমের জীবনও এতদিন চলত ভিক্ষা করে। তবে এখন আর তাকে ভিক্ষার থালা নিয়ে বসতে হবে না বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় মূল সড়কের পাশে। কারণ অশতীপুর বৃদ্ধার আজীবনের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেন।

শনিবার বিকালে ঢাকা টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংসদ সদস্য নিজেই। বলেছেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য। আমার এলাকায় এই বয়সে একজন বয়স্ক মানুষকে এভাবে জীবন চালাতে হবে এটা ভাবতেই কষ্ট লাগে। আমি তার আমৃত্যু সব ধরণের দেখভাল করবো। এর বাইরেও সরকারিভাবে যেসব সহযোগিতা তার প্রাপ্য তার ব্যবস্থা করবো।’

সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃদ্ধা বেগম বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কহুলী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চোখে দেখতে পান না। বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পাকা রাস্তার পাশে তাকে ভিক্ষার জন্য রেখে যান তার ভাতিজা-ভাতিজিরা। আবার বিকালে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বয়সের ভারে বাঁকা হয়ে যাওয়া অন্ধ বৃদ্ধা রোদ বৃষ্টি আর ঝড় মাথায় নিয়ে সারাদিন সড়কের পাশে বসে থাকেন। সড়কে চলাচলকারী লোকজন যা দেয় তা দিয়ে পেট চলে।

বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে নন্দীগ্রাম থেকে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলাম। দোহারের কাছে পৌঁছামাত্র দেখি রাস্তার পাশে বসে আছেন একজন বৃদ্ধা। গাড়ি কিছুটা সামনে চলে গেলেও পরে আবার পেছনে চলে এসে ওনার কাছে বসে বিস্তারিত শুনে চোখে পানি চলে আসে।

সংসদ সদস্য বলেন, ‘খুব ব্যস্ত রাস্তার পাশে এভাবে তাকে রেখে যাওয়া হয়, যেকোনো সময় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। বিষয়টি খুব অমানবিক লেগেছে আমার কাছে। তিনি কথাও বলতে পারেন না। পরে তার আত্মীয় স্বজন যারা ছিল তাদের বাড়িতে ডেকে পাঠাই। সবাইকে বলে দিয়েছি ওনাকে যেন আর ভিক্ষা করতে না বসানো হয়। যতদিন তিনি বাঁচবেন তার সব দায় দায়িত্ব আমি নিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে তার জন্য আমি যা যা করার তা তো করবোই। এরবাইরেও সরকারিভাবে তাকে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিবো। আর সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের একটি ঘরের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলে দিবো। আশা করি তার কোনো সমস্যা থাকবে না।’

(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :