ইউএনওর ওপর হামলায় দুজন রিমান্ডে, প্রধান আসামি হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
| আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৪১ | প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৫৯
ফাইল ছবি

দিনাজপুরে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার বিশ্বাসের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় দিনাজপুরের আমলি আদালত-৭ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসুর আদালতে এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি-গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাম আবু জাফর আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

তবে মামলার প্রধান আসামি আসাদুল হক শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তিনি পুলিশের তত্ত্বাবধানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে আদালতকে জানায় পুলিশ।

র‌্যাব-১৩ সদরদপ্তর রংপুর থেকে এর ডিএডি বাবুল খানের নেতৃত্বে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার বিশ্বাসকে ঘোড়াঘাট থানায় সোপর্দ করা হয়। সন্ধ্যায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে।

এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবন ‘শাপলা’য় আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। ১০ জনের কথা থাকলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় আপাতত সেখানে চারজন আনসার মোতায়েন করা হয়।

গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় সরকারি বাসভবনে দুর্বত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন ঘোড়াঘাট থানার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওমর আলী। ওয়াহিদা খানমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলেও তার বাবা চিকিৎসাধীন আছেন রংপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াহিদা খানমের আড়াই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পর রাতেই জ্ঞান ফিরেছে তার। বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম।

এঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ আহমেদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানার একটি মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রধান আসামি আসাদুল হককে হিলি সীমান্তের কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় গ্রেপ্তার করে। এর আগে ঘোড়াঘাট থেকে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম (আটকের পর বহিষ্কৃত) ও মাসুদ রানা নামে আরও দুজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধান আসামি আসাদুলের স্বীকারোক্তি মতে শুক্রবার দুপুরে ঘোড়াঘাট থেকে মূল পরিকল্পনাকারী রংমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম এবং বিকেকে গোবিন্দগঞ্জ থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের সান্টু কুমার বিশ্বাসকে আটক করে র‌্যাব। সেই সাথে প্রধান আসামি আসাদুল ঘটনার সময় পরিহিত লাল রঙের টিশার্টটিও তার বাড়ি থেকে র‌্যাব উদ্ধার করে।

পরে শুক্রবার সন্ধা ৭টায় র‌্যাব-১৩ সদরদপ্তর রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানায়, চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালিয়েছে তিনজন। মূল আসামি আসাদুল তা স্বীকার করেছেন। পরে আটক যুবলীগ নেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলমকে ছেড়ে দেয় র‌্যাব।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- রংপুর ডিআইজির একজন প্রতিনিধি এবং দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ মাহমুদ।

(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/এসএএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :