আটকা শত শত গাড়ি, বাড়তি টাকা দিলেই ফেরিতে ওঠার টিকিট!

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৩২ | প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৩০

মুন্সীগঞ্জে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় এ রুটের যানবাহনগুলো পদ্মা পারি দিতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে ভিড় করছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নাব্য সংকটে এ ফেরিঘাটে আগে থেকেই নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। এখন শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী থেকে বাড়তি চাপ যোগ হওয়ায় এখানে যানবাহনের সাড়ি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে। এ অবস্থায় বাড়তি টাকা না দিলে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার হতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাক চালকরা। এতে দুর্দশায় পড়েছেন তারা।

জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নাব্য সংকটে এ নৌরুটে মূল চ্যানেল থেকে ফেরিগুলোকে ৩ কিলোমিটার ঘুরে দৌলতদিয়া ঘাটে যেতে হচ্ছে। এতে করে ফেরি পারাপারে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দিগুণ সময় লাগছে। এখন শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী থেকে বাড়তি চাপ যোগ হওয়ায় এখানে যানবাহনের সাড়ি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে।

এ অবস্থায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নদী পারাপারের অন্যতম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস পাড় হলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রাক চালকরা। এই ঘাটে দুই তিন দিন ধরে আটকা পড়ে আছেন তারা। ট্রাক চালকদের অভিযোগ অতিরিক্ত টাকা দিলেই মিলছে নদী পাড়ের টিকিট।

কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর, খুলনাগামী কয়েকজন ট্রাক চালক অভিযোগ করে বলেন, গত দুই তিন ধরে তারা পাটুরিয়া ঘাটে আটকা পড়েছেন। যারা নির্ধারিত টিকিটের বেশি টাকা দিচ্ছেন তারাই আগে টিকিট পাচ্ছেন। অতিরিক্ত টাকা না দিলে তাদেরকে সহজেই পাড়ের টিকিট দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যাত্রীবাহী বাসের দোহাই দিয়ে তাদেরকে ঘাটে আটকে রাখা হচ্ছে।

তারা আরো বলেন, এদিকে পাড়ের টিকিট না পেয়ে তারা ঘাটে এসে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ঘাটে আটকা পড়ে পকেটের সব টাকা তাদের খাওয়া দাওয়াতেই চলে যাচ্ছে।

তবে, ট্রাক চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বিআইডব্লিউটিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে নদীতে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ৮টি রো-রো (বড়) ও ৭টি ইউটিলিটি (মাঝারি) ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপারের কাজ চলছে। স্বাভাবিক সময়ে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যেতে একটি ফেরির সময় লাগে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। আর এখন সময় লাগছে প্রায় এক ঘণ্টা। যে কারণে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা অনেকটা কমে গেছে। তাই ঘাটে এসে যানবাহনগুলোকে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়।

তিনি আরও জানান, গত ৫ দিন ধরে নদীতে ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে। ডুবোচরের কারণে ফেরিগুলোকে অনেকটা ঘুরে অন্য পথ দিয়ে যেতে হয়। নাব্য সংকট না দূর হওয়া পর্যন্ত ড্রেজিং কার্যক্রম চালু থাকবে।

ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :