পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৮ সেপ্টেম্বর

অস্ত্র আইনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে আরও তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় আদালত আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষীরা হলেন- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামান, সুধাংশু সরকার, মো. সাইরুল ইসলাম।

সাক্ষীদের মধ্যে সুধাংশু সরকার ও মো. সাইরুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেও আরিফুজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়নি। ফলে, আদালত আগামী ৮ সেপ্টেম্বর অবশিষ্ট সাক্ষ্যের তারিখ ধার্য করেন।

এ নিয়ে গত পাঁচদিনে মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। আর তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়েই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

গত ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন। ১৮ আগস্ট একই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৩ আগস্ট একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুই সহযোগীসহ পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা ও দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করে।

পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/ইএস)