চাকরির ইন্টারভিউয়ে সফল হতে চাইলে...

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৪৭

ঢাকা টাইমস ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ইন্টারভিউয়ের সাফল্যের উপরেই নির্ভর করে আপনার চাকরি পাওয়া কিংবা না-পাওয়া, অর্থাৎ কার্যত আপনার ভবিষ্যৎ জীবন। প্রতিষ্ঠান ছোট হোক বা বড়, নিয়োগ পদ্ধতি সবখানেই দ্রুত বদলাচ্ছে। তবে যে কোন চাকরির জন্য মুখোমুখি ইন্টারভিউ এখনো একটি বড় বিষয়। বড় বড় কোম্পানির নিয়োগকর্তারা মনে করেন, যে কোনও চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একজন ব্যক্তির সামনে বা প্যানেলের সামনে মুখোমুখি হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সামর্থ্য কারো ক্যারিয়ার যেমন গড়ে দিতে পারে, আবার শেষও করে দিতে পারে।

 

ইন্টারভিউয়ে কীভাবে সফল হবেন

 

ভালভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, কিংবা ফরমাল পোশাকে যেতে হবে হবে ইন্টারভিউ দিতে এই জাতীয় পরামর্শ নিশ্চয়ই ইতিমধ্যেই অনেকবার শুনে ফেলেছেন। কিন্তু এটুকু করলেই সাফল্যকে অনিবার্য করে ফেলা সম্ভব নয়। তাহলে কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

কোনও ইন্টারভিউয়ে যাওয়ার আগে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন, ইন্টারভিউ বোর্ডে কারা রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে আলাদাভাবে খোঁজখবর নিন, গুগল নিউজ থেকে বা লিংকডিন-এর মতো নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে তাদের সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে, দেখে নিন।

কার আগ্রহের জায়গা কোনটি, কে কী ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন তা আঁচ করা যাবে। তাতে প্রস্তুতির কাজটিও সহজ হবে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এই ধরনের খোঁজ নেওয়া একটু কঠিন হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার আগে যারা ইন্টারভিউ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে পরিচিত কেউ থাকলে, তার কাছে খোঁজ নিতে পারেন।

ইন্টারভিউয়ের সময়ে মাঝেমধ্যে আলোচনাকে আপনার রেজিউমে বা বায়োডাটায় উল্লিখিত বিষয়গুলোর বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, আপনার কথাবার্তা যেন অপ্রাসঙ্গিক না হয়ে পড়ে।

আলোচনার কোনও একটি সূত্র ধরেই আপনাকে আলোচনাকে অন্য খাতে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এটা করতে পারলে, বায়োডাটায় লিখিত আপনার পারদর্শিতার জায়গাগুলোর বাইরেও যে আপনার উৎসাহ রয়েছে, তা প্রমাণিত হবে।

যে চাকরি আপনি করতে চলেছেন, তার সঙ্গে একটা আত্মিক যোগ এবং আবেগমূলক যোগ আপনার রয়েছে, তা বোঝান। এই চাকরিটি পেলে আপনি যে শুধু আর্থিক দিক থেকে নয়, মানসিক দিক থেকেও লাভবান হবেন, এটা কথাবার্তায় ফুটিয়ে তুলুন।

বিশেষজ্ঞরা আরও একটি পরামর্শ দিচ্ছেন, এবং তাদের মতে এটিই ইন্টারভিউয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি। তারা বলছেন, ইন্টারভিউ প্রধানত ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা। ব্যক্তিত্বই যাচাই করা হয় এতে, আপনার জ্ঞান নয়। কাজেই কোনও প্রশ্নের উত্তর না জানলে, স্পষ্টভাবে বলে দিনে, ‘এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই।’

ভুল বা ভাসা ভাসা উত্তর দেওয়ার তুলনায় এতে কাজ হয় অনেক বেশি। কারণ এতেই আপনার ব্যক্তিত্বের জোর অনেক বেশি পরিস্ফুট হয়। কাজেই আগামী ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করুন। মনে রাখবেন, সফল আপনি হবেনই।

কখনও এমন ভাবে বসবেন না যাতে দরজা একেবারে আপনার পিছনে থাকে। প্রবেশ ও প্রস্থানের পথটি চোখের সামনে থাকা বাঞ্ছনীয়।

আপনার বডি ল্যাঙ্গোয়েজটিতে মনোসংযোগ করুন। অনেকেই নার্ভাস হয়ে নানা দেহভঙ্গি করে যা দৃষ্টিকটূ অথচ সে টেরও পায় না। এক্ষেত্রে সামনে বসা ব্যক্তির বডি ল্যাঙ্গুয়েজটিকেও অনুসরণ করা যায় অস্বস্তি কাটাতে, এতে পজিটিভিটি তৈরি হয় পরিবেশে। অযথা নড়াচড়া করবেন না।

(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/আরজেড/এজেড)