আমন ধান চাষে ব্যস্ত বাউফলের কৃষক

কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল
 | প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:১৯

জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল ডুবে গিয়েছিল। এসময় উপজেলার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির আমনের বীজতলা পানিতে ডুবে থাকায় কৃষকদের মধ্যে তখন আমন চারা পচে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। তবে সপ্তাহ না যেতেই চরাঞ্চল এলাকা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় কৃষকরা কোমর বেঁধে নেমেছেন আমন চাষে।

উপজেলা কৃষি কার‌্যালয় জানিয়েছে, এবছর আমন চাষের জন্য লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমি। এতে রয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর স্থানীয় ও ১৬ হাজার ৭০০ হেক্টর উচ্চ ফলনশীল জাতের।

উপজেলার মূলভূখণ্ড বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপের চরমিয়াজান ভান্ডারিবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা নিজ জমিতে আমন চারা রোপণের জন্য বীজতলা থেকে আমন ধানের চারা সংগ্রহ করে ফিরছেন। এসময় কথা হয় কৃষক শাহআলম হাওলাদার, আব্দুল আলী, ছালাম, রত্তনসহ কয়েকজন প্রান্তিক কৃষকের সঙ্গে

তারা জানান, সম্প্রতি নদীতে জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে চন্দ্রদ্বীপের বেরিবাঁধ উপচে পানি ঢোকায় আমন ধানের বীজতলার অনেক ক্ষতির শঙ্কা ছিল। কিন্তু সেই পানি নেমে যাওয়ায তারা এখন আমান চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

কৃষকরা জানান, সরকারি ভর্তূকি মিলিয়ে বিএডিসির নির্ধারিত ডিলারের বিভিন্ন খরচের কারসাজিতে ২৯০ টাকার ১০ কেজির প্রতি প্যাকেট আমন বীজ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনতে হয়েছে তাদের। শেষের দিকে এসে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকাতেও বীজধান না পাওয়ায় অনেকেই নিজস্ব পদ্ধতিতে রাখা বীজধান বুনেন বীজতলায়। সেই নিজস্ব বীজ দিয়েই কৃষকরা এবারের বীজ সংকট কাটিয়ে উঠেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জামান বলেন, ‘টানা বর্ষণ আর অতিজোয়ারের পানিতে তলিয়ে বাউফলের আংশিক আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। অতিরিক্ত বীজতলা তৈরি আর পানি নামতে থাকায় বীজতলার এই ক্ষতির পরিমাণ কমে ১ শতাংশে নামবে। তবে সার্বিক আবহাওয়া বিরূপ না হলে চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন আশা করছি।

(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :