চাষাড়া আ.লীগ অফিসে হামলা: চার্জশিটে আপত্তি শামীম ওসমানের

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৩৬

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনার ১৩ বছর পর আদালতে দাখিল করা চাজশিটের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। চার্জশিটের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত চেয়ে তিনি বলেছেন, তিনি এ চার্জশিট মানেন না।

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রথম বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানার আদালতে সাক্ষ্য প্রদান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ কথা জানান শামীম ওসমান। চার্জশিট দাখিলের ৭ বছর পর মামলার সাক্ষ্য দিলেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, ‘ঘটনার পরে আমি সাক্ষ্যতে যে জবানবন্দী দিয়েছিলাম এখন দেখি বিচার চলাকালে সেই কথা কিছুই নাই। আমাদের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। ফলে আমি চাই এ ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী তাদের যেন বিচার হয়। আর যিনি দোষী না, তিনি যেন সাজা ভোগ না করে। আদালত আমার বক্তব্য শুনে কনভেন্সড হয়েছেন। আদালত পরে ওই আদালতের এপিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন পিটিশন দেওয়ার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে যে তদন্ত হয়েছে সেই তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার বক্তব্য ঠিকমত তুলে ধরেনি। আমি কোন সমঝোতা করব না। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিকে বলেছি আমি এ চার্জশিট মানি না।’

এ মামলার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভুক্তভোগী তিনজনের একজন নারায়ণগঞ্জের-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, যাকে সাক্ষী দেওয়ার জন্যই তিনবার সমন জারি করেন আদালত। শেষ সমনে গত ২৩ মার্চ সাক্ষ্য দেয়ার নির্ধারিত তারিখ থাকলেও করোনার জন্য উপস্থিত হতে পারেননি। ফলে আবারও পিছিয়ে যায় সাক্ষ্য প্রদানের দিন।

সোমবার দুপুরে নির্ধারিত শুনানির সময়ে আদালতে হাজির হন শামীম ওসমান। ওই সময়ে আদালতে মামলার আসামি শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে নিহত যুবদল নেতা মমিনউল্লাহ ডেভিডের ভোট ভাই শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, ওবায়দুল্লাহ রহমান, ভারতের দিল্লি কারাগারে আটক সহোদর আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল।

তাদের মধ্যে মুফতি হান্নানের একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মোরসালিন ও মুত্তাকিন ভারতে পলাতক রয়েছেন। আর অভিযুক্তদের মধ্যে কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও ওবায়দুল্লাহ রহমান জামিনে আছেন।

২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে ১৬জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। রাতে পৌনে ৮টার দিকে তখনকার এমপি শামীম ওসমান যখন জনগণের কথা শোনার জন্য সাক্ষাৎ দিচ্ছিলেন ঠিক তখনি বোমা হামলা হয়। সেই হামলায় আওয়ামী লীগের ২০ নেতাকর্মী প্রাণ হারান। গুরুতর আহত হন শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক লোক।

চিরতরে পঙ্গত্ববরণ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলার সভাপতি চন্দন শীল, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রতন দাসসহ আরও অনেকেই।

সেদিনই নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা দুটি মামলা (একটি বিস্ফোরক ও অন্যটি হত্যা) দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :