তরুণদের দক্ষ করতে ‘গার্ডিয়ান অব দ্য ফিউচার’

তরুণদের মধ্যে পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘গার্ডিয়ান অব দ্য ফিউচার’ শীর্ষক একটি অনলাইন প্রোগ্রাম চালু করছে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোভিড-১৯ পরবর্তী পৃথিবীকে বিবেচনায় রেখে দেশের ভবিষ্যৎ গার্ডিয়ান তৈরির লক্ষ্যে ৮ ঘণ্টাব্যাপী ‘ফিনিশিং স্কুল প্রোগ্রাম’র আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এর লক্ষ্য হলো এক্সিকিউটিভ এমবিএ, স্নাতক শিক্ষার্থী, স্নাতকপাশ এবং উচ্চাকাঙ্খী পেশাজীবীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদেরকে দেশের ভবিষ্যৎ যোগ্য গার্ডিয়ান তৈরি করা। যাতে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠান ও কমিনিউটির মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

নতুনত্বে নিজেকে মেলে ধরা, আত্ম-উন্নয়নে নিজেকে স্বাবলম্বী করা, আত্ম-ব্যবস্থাপনায় ক্যারিয়ার গড়া এবং নিজ দক্ষতায় নিজেকে এগিয়ে নেওয়া এই চার বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে তরুণদের জন্য এই কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর ১৫টিরও অধিক অংশীদারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট কর্পোরেট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘গার্ডিয়ান লাইফ’ ও ‘লাইটহাউস বাংলাদেশ’ যৌথভাবে এই ‘ফিনিশিং স্কুল প্রোগ্রাম’ চালু করেছে।

আগামী ২ মাসের মধ্যে ২০০ গার্ডিয়ান তৈরি করাই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। ইতোমধ্যে ঢাকা, ড্যাফোডিল ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কৌশলগত অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে এবং আরো ১৫টি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংযুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন শেষে একটি প্রশংসা পত্র দেওয়া হবে এবং তাদের জীবনবৃত্তান্তগুলো পর্যায়ক্রমে কর্পোরেট নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠানো হবে।

লাইটহাউস’র সিইও জনাব নাজমুস আহমেদ (আলবাব) বলেন, ‘অনলাইন উন্নয়ন কর্মসূচিটি পার্সোনাল প্রোফাইলিং, যোগ্যতা উন্নয়ন এবং ভ্যালু ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের একটি সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করবে। এটি মহামারি শেষে অনিশ্চয়তার পথ মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে।’

অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে গার্ডিয়ান লাইফ’র সিইও মনিরুল আলম বলেন, ‘গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স দক্ষ তরুণদের গুরুত্ব বুঝে এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সবসময় কাজ করে থাকে। উন্নত জাতি মানেই নিঃসন্দেহে দক্ষ জাতি। সঙ্কটের সময়ে দক্ষতা বৃদ্ধিতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা প্রদান করা অনিরাপদ ও অসম্ভব। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পুরো দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মুখোমুখি কোনও সাক্ষাত না হলেও অনলাইন প্রশিক্ষণ শ্রেণিকক্ষের চেয়ে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকরী একটি বিকল্প মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠেছে।’

(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/পিএল)