পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় পুত্রবধূর হাতে খুন শাশুড়ি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে পরকীয়ার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাশুড়ি জহুরা খাতুনকে হত্যা করেছেন পুত্রবধু জোসনা আরা বেগম রুনি (৩৬) এবং তার পরকিয়া প্রেমিক। মঙ্গলবার বিকালে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহীদ হোসাইন জানান, মামলা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার করে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।
এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত পুত্রবধু জোসনা আরা বেগম রুনি ও তার পরকীয়া প্রেমিকের অপর সহযোগী মো. আশিককে (২০) গ্রেপ্তারের পর তারা হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। পরবর্তীতে সোমবার বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হলে নোয়াখালীর বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হত্যাকান্ডের শিকার বৃদ্ধা জহুরার পুত্রবধূ রুনি।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, জহুরা খাতুনের ছেলে মো. ইলিয়াছ দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসে। করোনাকালে ছুটিতে দেশে আসেন ইলিয়াছ। তার স্ত্রী জোসনা আরা বেগম রুনি একই বাড়ির এ মামলার অপর পলাতক আসামির সঙ্গে পরকিয়া প্রেম করে আসছিলেন।
এ নিয়ে প্রায় শাশুড়ি জহুরা এবং পুত্রবধু রুনির মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। এলাকায় এ পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে যায়। এটা বুঝে যাওয়ার পর জহুরা খাতুনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন তার পুত্রবধূ রুনি ও তার পরকীয়া প্রেমিক।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন জহুরা খাতুনের ছেলে ইলিয়াছের প্রথম সংসারের ছেলের (জহুরার নাতি) সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য ঘর থেকে জহুরাকে বের করে নেন রুনি। পরে জহুরাকে হত্যা করে বাড়ি থেকে প্রায় ৪০০ মিটার পশ্চিমে ধান ক্ষেতে কাদা পানিতে মাথা ডুবিয়ে লাশ গোপন করে রাখে রুনির পরকীয়া প্রেমিক এবং তার সহযোগী আশিক।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীদ হোসাইন জানান, জহুরা হত্যাকান্ডের মূল আসামি তার পুত্রবধূ জোসনা আরা রুনির পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকাটাইমস অনলাইনে ও ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক ঢাকাটাইমসে ‘কোম্পানীগঞ্জে ধান ক্ষেতে বৃদ্ধার লাশ’ শিরোনামে লাশ উদ্ধারের খবরটি প্রকাশ হয়।
(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/কেএম)