আবরার হত্যায় চার্জগঠনের শুনানি শেষ, আদেশ ১৫ সেপ্টেম্বর

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৪২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান শুনানি শেষে এই তারিখ ঠিক করেন।

এর আগে বুধবার অবশিষ্ট ৯ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেন। আর এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর চার্জগঠনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ সব আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রস্তাব করার পর ১৩ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদন শুনানি শেষ করেন। মামলার অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে শুনানি হয়নি।

শুনানিকালে কারাগারে থাকা ২২ জন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী শাসছুল আরেফিন রাফাত, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষে ছাত্র আকাশ হোসেন, শিক্ষার্থী মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, হোসেন মোহাম্মাদ তোহা, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু। যাদের মধ্যে প্রথম আটজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

অপর তিন আসামি বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মুহাম্মাদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান (২২), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০) ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মুজতবা রাফিদ (২১) পলাতক রয়েছেন।

আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত বছর ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার পর ওই বছর ১৩ নভেম্বর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চলতি বছর ২১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। এরপর গত এপ্রিল মাসে মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ আসে এবং ৬ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে শুনানির প্রথম তারিখ ঠিক হয়। কিন্তু তার আগে করোনাভাইরাসের জন্য আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় বিচার শুরু হতে পারেনি।

(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)