প্রেমে প্রতারিত হয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫১ | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৭

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রিপন ইসলাম। বয়স ২৬ বছর। তিনি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকি ইউনিয়নের আগ্রা গ্রামের শাহ্পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে। তিনি ছদ্মনাম বিপ্লব রায় রেখে লতা রায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর কয়েকদিন পর থেকে দুজন জড়িয়ে পড়েন শারীরিক সম্পর্কে।

ঘটনার দুই মাস পর লতা রায় গত ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেমিকের টানে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর তার আসল পরিচয় জানতে পেরে চক্ষুলজ্জার ভয়ে বাড়ির পাশে লিচু গাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন লতা। সদ্য এসএসসি পাশ করেছেন লতা রায়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের জোয়ার গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।

খানসামা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লাশ উদ্ধারের পর থেকে জব্দকৃত আলামত মোবাইল ফোনের বার্তা আদান প্রদান ও কথোপকথনের সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালায় পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার ওসি শেখ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই তন্ময় বিশ্বাস ও এসআই সাইদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লতা রায়ের আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী ভন্ড প্রেমিক রিপন ইসলামকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।

আটকের পর রিপন ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় গোপন রেখে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই সন্তানের জনক রিপন ইসলাম। তিনি নাম পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক করে থাকেন। এ ঘটনার পরেও তিনি একাধিক জনের সঙ্গে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

এ বিষয়ে খানসামা থানার ওসি শেখ কামাল হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধারের পর থেকেই বিষয়টি উদঘাটনে কাজ করে লতা রায়ের আত্মহত্যার মূল প্ররোচণাকারী রিপন ইসলামকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৯সেপ্টেম্বর/কেএম)