কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধের দাবি পাটশিল্পের মালিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:১২

দেশে পাট উৎপাদন কম হয়েছে এবং দেশের পাটশিল্পের চাহিদা পূরণের জন্য কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

আজ বুধবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

অতিবন্যার কারণে এবার পাট উৎপাদন কম হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এখন ভরা মৌসুমে প্রতিমণ কাঁচাপাটের দাম ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা বেড়ে গেছে, যা বিরল ঘটনা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও প্রতিমণ কাঁচা পাটের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এখন প্রতিমণ পাটের দাম ২৭৫০ টাকা। ভরা মৌসুমে কাঁচাপাটের এই মূল্যবৃদ্ধি কারও অভিজ্ঞতায় নেই।’ এতে উৎপাদন শেষে মূল্য যা দাঁড়াবে তাতে ক্রেতারা তা কিনতে চাইবে না বলে জানান তিনি।

চলতি বছর দেশে বণ্যার কারণে প্রায় ২০ লাখ বেল কম কাঁচাপাট উৎপাদন হবে বলে ধারণা করছেন দুই সংগঠনের নেতারা। এতে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ক্ষেত্রে ঘাটতি হবে ১০ লাখ বেল পাট।

চাহিদা ও উৎপাদনের ঘাটতির কারণে বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ মিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে সাধারণত কাঁচাপাট প্রায় ৭৫ লাখ বেল উৎপাদন হয়ে থাকে। ধারণা করা যাচ্ছে, এ বছর তা হবে প্রায় ৫৫ লাখ বেল। দেশের পাটশিল্পের জন্য কাঁচাপাটের প্রয়োজন হবে প্রায় ৬০ লাখ বেল এবং গৃহস্থালি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন প্রায় পাঁচ লাখ বেল। মোট কাঁচাপাটের প্রয়োজন প্রায় ৬৫ লাখ বেল। তার মানে ১০ লাখ বেল পাট কম রয়েছে। প্রতিবছর কাঁচাপাট রপ্তানি হয় ৮ থেকে ১০ লাখ বেল। এখন এই পরিমাণ কাঁচাপাট রপ্তানি হলে আমরা ব্যাপক ঘাটতির মুখে পড়ব। আগে আমাদের নিজেদের চাহিদা পূরণ হোক, তারপর রপ্তানি।’

পাটপণ্য তৈরিতে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাঁচাপাট কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘কাঁচাপাটের মূল্য অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেলে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। এ ছাড়া কাঁচাপাট সরবরাহ ঘাটতির কারণে পাটকল বন্ধ হয়ে গেলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রেতারা পাটপণ্য ব্যবহার থেকে সরে দাঁড়াবে, যা দেশের পাটশিল্পের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হবে। পাটশিল্প রক্ষার্থে কাঁচাপাটের বাজারদর এবং সরবরাহ সহনীয় পর্যায়ে রাখা প্রয়োজন।’

(ঢাকাটাইমস/৯সেপ্টেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :