শাহজালালে পোশাকের চালানে বিপুল পরিমাণ মাদক, আটক ৬

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৩০ | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানি কার্গো ভিলেজে ডুয়েল ভিউ স্ক্যানারে  নিরাপত্তা তল্লাশির সময় এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা রপ্তানি পোশাকের চালানে কোকেনসদৃশ এমফিটামিন নামের বিপুল পরিমাণ নতুন মাদক উদ্ধার করেছে। এ সময় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ছয় কর্মচারীকে আটক করেছে এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিমানবন্দরের এইচএসআইএ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান। তিনি বলেন,  হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানি কার্গো ভিলেজে ডুয়েল ভিউ স্ক্যানারে নিরাপত্তা তল্লাশি বা স্ক্রিনিংয়ের সময় এভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যরা রপ্তানি পোশাকের চালানে কোকেনসদৃশ এমফিটামিন নামের মাদক আটক করেছেন। এই মাদক গার্মেন্টস পণ্যের আড়ালে এক্সপোর্ট হচ্ছিল। এমফিটামিন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ধরা পড়েছে। এই পণ্যগুলো নেপচুন ফ্রেইট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির গার্মেন্টস পণ্যের চালান। ইউনাইটেড ট্রেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই পণ্যগুলো প্যাকেজিং করা হয়। একটি বিদেশি কুরিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আজ রাতে পণ্যগুলো হংকং হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া কথা ছিল।

তৌহিদ-উল আহসান আরও বলেন, এই কার্গো চালানটিতে মোট ১৩০টি কার্টনের মধ্যে সাতটির ভেতরে মাদক ছিল। এই কার্টনগুলোর ভেতরে থাকা কাপড়ে বিশেষ একটি স্তর তৈরি করে মাদকগুলো পলিথিনের প্যাকেটে রাখা হয়েছিল। এছাড়া তার বাইরে একটি কার্বনেট আবরণ দেয়া ছিল। বিমানবন্দরের ই-স্কিনিং সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে এই কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। সাতটি কার্টন থেকে মোট ১৫ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়। এর সঠিক বাজারমূল্য জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন দেশে এর আলাদা-আলাদা বাজারদর রয়েছে। এমফিটামিন নামের এই মাদকের নানান ব্যবহার রয়েছে। ইয়াবাসব বিভিন্ন মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এটি।

জব্দ করা নতুন মাদক বিমানবন্দর থানায় স্থানান্তর করা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

পণ্য পরিবহনের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এআর/জেবি)