নড়াইলে গৃহবধূ আঁখি হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নড়াইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৫২ | প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৫০

গৃহবধূ আঁখি হত্যার বিচারের দাবিতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জয়পুর পল্লীসমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন হয়েছে। ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ার সালামাবাদ ইউনিয়নের জয়পুর এলাকায় এ মানববন্ধন হয়।

এ সময় বক্তব্য দেন ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির কালিয়া উপজেলার মাঠ সংগঠক লিপি বিশ্বাস, সাবেক ইউপি সদস্য সুকরণ বেগম, খাদিজা বেগম, শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নড়াইলের পার্শ্ববর্তী মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কেড়িনগর গ্রামের গৃহবধূ কলেজছাত্রী আকলিমা খাতুন আঁখিকে শরীরে ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আঁখির মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৫ আগস্ট বিকালে অগ্নিদগ্ধ হন আঁখি। এ ঘটনার দুদিন পর আঁখির দাদা রতন আলী মহম্মদপুর থানায় মামলা করেন। এতে আঁখির সাবেক স্বামী কেড়িনগরের নাজমুল মোল্যাসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। আমরা আঁখি হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত বিচার চাই। সেই সঙ্গে নারী নির্যাতন বন্ধ করে সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ গড়তে চাই।’

আঁখির দাদা রতন আলীসহ তার পরিবারের সদস্যরা জানান, দুই বছর আগে আঁখির সঙ্গে কেড়িনগরের নাজমুল মোল্যার বিয়ে হয়। তারা একে-অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করলেও তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের সাত মাস পর আঁখি নাজমুলকে তালাক দেয়। বিষয়টি নাজমুল মেনে নিতে পারেনি। তাই নাজমুল আঁখিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিত বলে অভিযোগ।

এর মধ্যে গত ১৫ আগস্ট বিকালে আঁখি তাদের বাড়িতে বাথরুমে যাওয়ার সময় ওত পেতে থাকা নাজমুলের লোকজন তাকে (আঁখি) জাপটে ধরে। এরপর আঁখির ওড়না দিয়ে তাকে বেঁধে ফেলে শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে আঁখির শরীরে বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। এ সময় তার আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসে।

এরপর প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে এবং পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এদিকে নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার তিন থেকে চার দিন আগে নাজমুল গ্রাম্য মাতব্বরদের ডেকে আনেন আঁখিকে আবার বিয়ে করার জন্য। এসময় আঁখি নাজমুলকে বিয়ে করতে চাইলেও মেয়ের পরিবার এতে রাজি হননি। অন্য কারোর সঙ্গে আঁখিকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার পরিবার চাপ দেওয়ায় নিজে (আঁখি) শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :