স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সিনেমা হল উন্মুক্ত করা যেতে পারে

মির্জা গোলাম ইয়াহিয়া
 | প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:২৭

করোনাভাইরাসের সাধারণ ছুটির মধ্যে মানুষ বাসায় বসে টিভি দেখেছে। সময় কাটিয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। বিশেষ করে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলোয় সিনেমা ও সিরিয়াল দেখার প্রবণতা বেড়েছে। তখন আমি সিনেমা হলের বিকল্প হিসেবে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলোর কথা বলেছিলাম। আসলেই এগুলোর প্রসার অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি মাধ্যম হুট করে বন্ধ হয়ে যায় না। বন্ধ করা ঠিকও নয়। বরং চালু রাখতে উদ্যোগ নিতে হয়। সিনেমা হল বিষয়েও আমার এই আহ্বান থাকবে।

করোনার লকডাউন আর নেই। সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। যদিও এটা এক ধরনের নিউ নরমাল লাইফ। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিংবা মাস্ক পরে হলেও মানুষ সব ধরনের কাজে ব্যস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা দেখছি সিনেমা হল চালুর অনুমতি এখনো দেওয়া হয়নি। অনেকে বলতে পারেন- সিনেমা দেখা বা দেখানো তো অত জরুরি বিষয় নয়। কিন্তু আমাদের একটা বিষয় ভাবতে হবে, সিনেমা হলের সঙ্গে অনেক মানুষের রুটিরুজি জড়িত। অনেক কর্মসংস্থান হয় হলের মাধ্যমে। হল বন্ধ থাকায় অনেকের আয় হয়তো বন্ধ আছে। আর হল যদি একেবারেই চালু না হয়, তাহলে অনেক মানুষ স্থায়ীভাবে বেকার হয়ে যাবে।

অন্যদিকে হল বন্ধ মানে নতুন সিনেমা নির্মাণও বন্ধ। সম্প্রতি শুটিং চালু হলেও নির্মিত ছবি যদি হলে মুক্তি না পায়, তাহলে চলচ্চিত্রশিল্পও মুখ থুবড়ে পড়বে। কারণ, আমাদের দেশে অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে ছবি রিলিজ করার বিষয়টি এখনো শক্তিশালী হয়নি। তাই সিনেমার প্রসারে এখনো প্রেক্ষাগৃহের প্রয়োজন রয়েছে।

এ অবস্থায় দ্রুত যদি চালু না করা হয়, তাহলে সিনেমা হল স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। এই কথা বলছে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। দেশের অত্যাধুনিক এই প্রতিষ্ঠান থেকে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। হল চালু করার দাবি তোলা হয় সেখানে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ৬৫ ভাগ আসন খালি রেখে ৩৫ ভাগ দর্শক নিয়ে হল খুলতে রাজি তারা। দেশের সব হলমালিকই এভাবে হলেও প্রেক্ষাগৃহ চালু করতে উন্মুখ হয়ে আছে। আর হলকর্মীরা তো কাজে ফিরতে আরও বেশি আগ্রহী। চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবাই প্রেক্ষাগৃহ খোলার অপেক্ষায় আছেন। কারণ এতে মুখ থুবড়ে পড়া এই শিল্প কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।

আমাদের দেশে সবকিছুই তো চালু হচ্ছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সিনেমা হল উন্মুক্ত করা যেতে পারে। এটা আমারও মত। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন- এই প্রত্যাশা থাকল।

লেখক: হেড অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড মিডিয়া ডিভিশন, সিটি ব্যাংক

ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :