বরিশালে দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় স্কুল ও কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে অভিমান করে বুধবার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যা করে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ ঘরে ঝুলন্ত কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আত্মহননকারী তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী হলো- নুসরাত জাহান নোহা। সে উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মো. সুমন মিয়ার কন্যা। কলেজছাত্রী হলেন- পূর্ব বাগধা গ্রামের নারায়ণ বৈরাগীর কন্যা পুতুল বৈরাগী। নোহা খাজুরিয়া গ্রামের দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ও বাগধা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
নোহার আত্মহত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে আগৈলঝাড়া থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে বাবা সুমন মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি আফজাল হোসেন এজাহারের বরাত দিয়ে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমি দীর্ঘদিন বন্ধের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর (শনিবার) স্কুলের মাসিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে নোহা ৩০ মার্ক পেয়ে অকৃতকার্য হয়। এতে স্কুলের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইক শিক্ষার্থী নোহাকে ক্লাস রুমে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে বেত্রাঘাত ও গালমন্দ করেন। নোহা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে স্বজনদের কাছে ঘটনা খুলে বলে কান্নাকাটি করে। সহপাঠীদের সামনে শিক্ষকের মারধর ও গালমন্দের অপমান সইতে না পেরে অভিমান করে দুপুরে নোহা নিজেদের ঘরের দোতলার আড়ার সাথে ওড়নার সাথে গামছা জোড়া লাগিয়ে তা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এসআই সুশান্ত কুমার জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে পুতুল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুতুলের আত্মহত্যার কোন কারণ জানা যায়নি। পুতুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/এলএ)