পিসিবির প্রধান নির্বাচক হচ্ছেন শোয়েব!

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:২৯

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় সমালোচক বোধহয় তিনিই। আইসিসি র‍্যাংকিং’য়ে পাকিস্তানের ক্রমাগত অবনতির পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের খারাপ পারফরম্যান্স। সবকিছু নিয়ে দলের হেড কোচ এবং প্রধান নির্বাচক মিসবাহ-উল-হকের সমালোচনায় দিনকয়েক আগে মুখর হয়েছিলেন শোয়েব আখতার। কিন্তু পিসিবি’র অন্দরমহলে কান পাতলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে মতপার্থক্য সরিয়ে খুব শীঘ্রই মিসবার সঙ্গে দলের উন্নতির স্বার্থে কাজ করতে দেখা যেতে পারে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’কে।

মিসবাহকে সরিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক পদে শোয়েব আখতারের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে ক্রমশ। বৃহস্পতিবার এব্যাপারে পিসিবি’র সঙ্গে আলোচনার কথা স্বীকার করে নিলেন খোদ আখতার। একটি ইউটিউব চ্যানেলে এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন স্পিডস্টার খোদ জানিয়েছেন, ‘একথা আমি একবারের জন্যও অস্বীকার করছি না। পিসিবি’র সঙ্গে এব্যাপারে আমার কথাবার্তা চলছে এবং আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। তবে এখনও চূড়ান্ত নয় কিছুই।’

রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের সংযোজন, ‘আমি খুব আরামে দিন যাপন করে থাকি। অতীতে আমি দেশের জন্য খেলেছি কিন্তু বর্তমানে সেই জায়গা থেকে সরে এসেছি। কিন্তু প্রয়োজনে আমি সেই আরামের জীবন ত্যাগ করে পিসিবির জন্য লাইনে গলা দিতে প্রস্তুত। আমি অন্যকে উপদেশ কিংবা পরামর্শ দেওয়ার ব্যাপারে এতোটুকু ভীত নই। সুযোগ এলে আমি নিশ্চিতভাবে সময় দেব। তবে কিছুই নিশ্চিত নয় এখনও। আমিও হ্যাঁ বলিনি পিসিবি’কে কিংবা পিসিবি’ও হ্যাঁ করেনি আমাকে।’

একইসঙ্গে পিসিবি’র এই চাকরিটা তিনি পারিশ্রমিকের কারণে গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন আখতার। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের এই বিতর্কিত চরিত্র বলছেন, ‘আমি এটা করতে চাই কেবল একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারের কথা ভেবে। তাদের মধ্যে আগ্রাসী মানসিকতা এবং ব্যর্থতার ভয়-ডর দূর করতে।’ আখতার বলছেন, পাকিস্তানের এই দলটার মূল সমস্যা হল ওদের হারের ভয় সবসময় তাড়া করে ফেরে। আর এই মানসিকতা বদল হওয়া ভীষণ প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হারের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৪৪ উইকেটের মালিক। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলছেন, ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে আগ্রাসী মনোভাবটা ভীষণ জরুরি। আমি সবসময় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি। আমার মনে হয় এর ফল তুমি নিশ্চয় ফেরত পাবে।’

(ঢাকাটাইমস/১১ সেপ্টেম্বর/এআইএ)