ময়মনসিংহের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫০

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সন্মেলনে ইউসুফ খান পাঠান তার বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদের প্রায় ৬০০ প্রকল্প রয়েছে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি কোথাও কোন দুর্নীতি হয়নি। কেউ তা প্রমাণ করতে পারবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি সবচেয়ে বেশি ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এরপর থেকেই আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’

এসময় তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সকল প্রশ্নের উত্তর সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, ‘শহরের পাটগুদাম মন্দির ভাঙা নিয়ে একটি মহল নোংরা রাজনীতি করছে। ওই মন্দিরে আমি ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।’

একটি প্রকল্পে বারবার অর্থ বরাদ্দ নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ৪২ শতাংশ জায়গার উপর নির্মিত। দীর্ঘদিনের ডাকবাংলো নির্মাণে ৪৫ কোটি টাকা দরকার। আমার আগের চেয়ারম্যান জহিরুল হক খোকা ৩০ লাখ টাকা রেখে গেছেন। আমার আমলে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখানে সচ্ছতার কোনো অভাব নেই।

এছাড়া, মুজিববর্ষের জন্য মেম্বারদের একটি প্রকল্প তৈরির জন্য বলা হলে উনারা ৭ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেন। কেক কাটা অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিজন সদস্য ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে । তাদের ১ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ১৫ ই আগস্ট উপলক্ষে জেলা পরিষদ কাচারী মসজিদ মাদ্রাসার এতিমদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে।’

তিনি স্বজনপ্রীতির অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করে বলেন, ‘জেলা পরিষদে লটারির মাধ্যমে টেন্ডারের কাজ বন্টন হয়। এখানে গোপনের কোন কিছু নেই। এতারাকান্দায় একটি দুতলা মার্কেট নির্মাণ করে ২৫ লাখ টাকা সাশ্রয় করে জেলা পরিষদের ফান্ডে জমা করেছি।’

সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, ‘আজ আমি তৃপ্ত, সংবাদ সন্মেলন উপলক্ষে আমি সাড়ে তিন বছরের উন্নয়ন তুলে ধরতে পেরেছি। আমার জীবনে এটা শ্রেষ্ঠ সময়।’

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠানের বিরুদ্ধে জেলা অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অশালীন আচরন, আত্বীয়করণ এবং প্রকল্প গ্রহনে একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। জেলা পরিষদের ২০ জনের মধ্যে ১৭ জন সদস্য এ অভিযোগ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :