প্রবাসী শ্রমিকদের মরদেহ সরকারি খরচে আনার ব্যবস্থা চেয়ে নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৩

বিদেশে কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক মারা গেলে তার মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা চেয়ে সরকারকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রেজিস্ট্রি ডাক যোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে সরকারি খরচে বিদেশে মৃত শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে জানান এই আইনজীবী।

নোটিশে বলা হয়েছে, তৃতীয় বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আমরা এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি এবং যে শক্তির ওপর ভর করে আমরা দাঁড়াচ্ছি, সেটা মূলত বৈদেশিক রেমিট্যান্স। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সব থেকে বড় মাধ্যম হিসেবে রেমিট্যান্স বা বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের পাঠানো টাকাই বিবেচিত হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিংকন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সের গুরত্ব তুলে ধরে নোটিশে উল্লেখ করেন, দেশের মানুষ বিদেশের মাটিতে শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল করছে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। সেই সমৃদ্ধ অর্থনীতির সুবিধা আমাদের দেশের আপামর জনসাধারণ ভোগ করছে এবং আমরা আয়েশি জীবন-যাপন করতে পারছি।

নোটিশে আরও বলা হয়, সাধারণত বিদেশে কর্মরত অবস্থায় কোনো শ্রমিক মারা গেলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের মরদেহ সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্রি ভিসা বা অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিক মারা গেলে সে যে দেশের নাগরিক সেই দেশকেই তার মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়।

নোটিশে এই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উল্লেখ করেন, ইতোপূর্বে আমাদের দেশের এ ধরনের শ্রমিকদের যারা বিদেশে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের লাশ বিমান বাংলাদেশ বিনা খরচে দেশে আনার ব্যবস্থা করে আসছিল। কিন্তু বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি, বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ খরচে আর মৃতদেহ বহন করবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সে ক্ষেত্রে বিদেশে কোনও শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারের খরচে মরদেহ দেশে আনতে হবে। এটা হতে পারে না।

যেসব মানুষ নিজের পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করে বিদেশে গিয়ে শ্রম দিচ্ছে, আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখছে, তারা কোনও দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করলে, রাষ্ট্র তার মৃতদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না, অন্তত একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে এ রূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টম্বর/এনআই/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :