আমাদের করিডোর ব্যবহার ও কিছু কথা

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:০১

মো. গোলাম সারোয়ার

মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ করছে। আমরা মনে করি, ইন্ডিয়াকে করিডোর দেওয়ার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে চীন মিয়ানমারকে ব্যবহার করছে।

ইন্ডিয়া তার মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে মালামাল পরিবহনে বাংলাদেশের বন্দর, ভূমি ও রাস্তাঘাট ব্যবহার করার সুযোগ লাভ করে। চীন মনে করে, ভারত তাদের অরুণাচল রাজ্যকে রক্ষা করতে এই পথে আর্মি ও এম্যুনিশন পরিবহন করবে।

উল্লেখ্য, ভারতের অরুণাচল রাজ্যকে চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে, যা রক্ষা করতে ভারতের নেপাল কিংবা বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের অনিবার্য প্রয়োজন রয়েছে।

নেপালকে ভারতীয় বলয় থেকে বের করার পর এই পথের একমাত্র বিকল্প বাংলাদেশ। সে জন্য ভারত ও চীন বাংলাদেশের সখ্য পেতে কূটনৈতিক, সামরিক, বাণিজ্যিক কিংবা রাজনৈতিক সব পন্থা ব্যবহার করছে।

মিয়ানমারকে উসকানি দিয়ে চীন যে কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে তার পরিণামে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক উপস্থিতি বঙ্গোপসাগরের তীরে অনিবার্য হয়ে উঠবে, যা এশিয়া ও বাকি বিশ্বের জন্য কোনোক্রমেই ভালো নয়। চীন ও মিয়ানমার যেন তা মনে রাখে।

কারণ বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে অনেকের প্রতিটি অনুরক্ত হলেও কারও কাছে দায়বদ্ধ নয়। আমরা নিশ্চয় আগামীর পৃথিবীতে কূটনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগ বাকি বিশ্বের সাথে এসব মাথায় রেখেই বাড়াব।

ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/এসকেএস