সাহেদের অস্ত্র মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫৮

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমের অস্ত্র আইনের মামলায় নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছে আদালত।

সোমবার মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পুলিশের এসআই তপন চন্দ্র সাহা, পুলিশের এএসআই রবিউল ইসলাম, জনৈক জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান মাহমুদ আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হন।

ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করে মঙ্গলবার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

এনিয়ে মামলাটিতে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ তিনটি ধার্য তারিখে শেষ হলো।

এর আগে এ মামলায় একই আদালত গত ২৭ আগস্ট এ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন।

এর আগে গত ৩০ জুলাই এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের এ মামলায় সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট ও ভুয়া নেগেটিভ ও পজেটিভ সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৬ জুলাই তার ওই মামলায় দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। রিমান্ডে নিয়ে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে উত্তরার তার একটি কার্যালয় থেকে অবৈধ অস্ত্র ও এবং জাল টাকা উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মামলায় গত ২৬ জুলাই আদালত তার সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তী সময়ে গত ১০ আগস্ট পদ্মা ব্যাংকের দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার  প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। এরপর সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)