সীমান্তে মিয়ানমারের ‘সেনা চৌকি’, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:২৪
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তের ওপারে বাইশফাঁড়ি এলাকাসহ আশপাশে নতুন করে সবুজ রঙের তাঁবু টাঙিয়ে অস্থায়ী চৌকি স্থাপন করেছে মিয়ানমার সেনারা। মিয়ানমার সেনাদের সন্দেহজনক এই গতিবিধির কারণে সীমান্তে কঠোর নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সোমবার সীমান্তে নজর রাখেন এমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। তাদের ভাষ্য, মিয়ানমারে অভ্যন্তরে সমাবেশে সন্দেহজনক গতিবিধি সেনাদের উপস্থিতির কারণ জেনেই সীমান্তে কঠোর নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি।

মিয়ানমার থেকে যেন নতুন করে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকাসহ কোনো ঘটনা ঘটলে কঠোরভাবে প্রতিহত করার কথা জানান সীমান্তে নজরদারিতে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তারা।

জানা যায়, সীমান্তের মিয়ানমারের এই ধরনের উসকানিমূলক আচরণে শূন্যরেখায় অবস্থানরত হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও সীমান্তের এপারের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

গত শুক্রবার হঠাৎ করে সীমান্তে মিয়ানমার সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধির মধ্যে গতকাল রবিবার ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করল বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে সীমান্তে দেশটির সেনা টহলের বিষয়ে ঢাকার উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে শুক্রবার ভোর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধির খবর দেয় বিভিন্ন গণমাধ্যম।

সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি পয়েন্টে গত কয়েক দিনে মিয়ানমার সৈন্যদের উপস্থিতি দেখার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, রাখাইনের আরাকান আর্মির সঙ্গে যে সংঘাত চলমান, তার অংশ হিসেবে সৈন্যদের আসা-যাওয়া হতে পারে।

সেখানে এমন সন্দেহজনক গতিবিধি ঘটলে বাংলাদেশের ‍উদ্বেগের কারণ রয়েছে। তিন বছর আগে রাখাইনে সেনা অভিযানের পর দমন-পীড়নের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে বাংলাদেশে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি। গত বছর দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা তুলে ধরে ফিরতে রাজি হয়নি রোহিঙ্গারা।

(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/এনআই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :