টাকার অভাবে বন্ধ হলো `প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন’

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:১৭

আল-আমিন রাজু, ঢাকাটাইমস

২০১৩ সালে যাত্রা করার পর থেকে ফুড ব্যাংকিং, সামাজিক সচেতনতা ও রাজধানী ঢাকার তিনটি স্থানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছিল সামাজিক সংগঠন প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন। গত সাত বছর ধরে শুভাকাঙ্খীদের ডোনেশনের মাধ্যমেই মূলত এর কার্যক্রম চলে আসছিল। কিন্তু এবছর মহামারি করোনা সব ওলট পালট করে দিল। আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে সাময়িক বন্ধ করা হলো সংগঠনের সকল কার্যক্রম।

সম্প্রতি সংগঠনটির ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন বন্ধের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংগঠনটির সহ উদ্যোক্তা পাভেল বাবু ঢাকাটাইমসকে বলেন, অনেকগুলো কারণ মিলিয়ে সংগঠন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত এসেছে। সামাজিক সংগঠনগুলো আমাদের চারপাশের স্বচ্ছল মানুষের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। করোনার কারণে আমাদের অনেক ডোনারই এখন আর আগের মতো আমাদের পাশে থাকতে পারছেন না। তারা আমাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছেন। আবার যদি সব কিছু স্বাভাবিক হয় তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে আবার কাজ শুরু করবেন। আর্থিক সমস্যার কারণেই আমরা আমাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর্থিকভাবে সহায়তার অভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পরিচালিত তিনটি স্কুল।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার দুটি স্থান ও বিমানবন্দর এলাকায় তিনটি স্কুল পরিচালনা করা হতো। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে সেই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের তিনটি শাখায় প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতো। যার বড় একটি অংশ ছিলো নিম্নআয়ের মানুষের সন্তান। এছাড়া আমাদের একটি ফুড ব্যাংকিং কার্যক্রম ছিলো। এই কর্যক্রমে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বেঁচে যাওয়া খাবার এনে ঢাকার বিভিন্নস্থানে বিতরণ করতাম। এছাড়া আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সামাজিক সমস্যা, রক্তদানে সচেতনতা তৈরি এবং রোগীদের রক্ত সংগ্রহ এবং যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগেও আমাদের কর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতো। কিন্তু সব কিছু মিলিয়ে করোনার কারণে আমরা এখন সংগঠনটি আর চালাতে পারছি না। সংগঠন চালাতে গিয়ে আমরা প্রায় ৩ লাখ টাকা ঋণী হয়ে গেছি। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে আমাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছি।

আমরা বলতে চাই করোনা মহামারি কাটিয়ে যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরব তখন চেষ্টা করব নিজেরা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রচেষ্টার কার্যক্রম শুরু করতে। তবে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে তাই পুনরায় চালুর বিষয়টা আমাদের ঘোষণায় রাখা হয়নি।

সাত বছর ধরে নিজেদের অর্থ ও পরিশ্রম দিয়ে গড়ে তোলা সংগঠনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ সংগঠনটির সেচ্ছাসেবীরা। তবে তাদের আশা দ্রুতই খারাপ সময় কাটিয়ে আবারও নিজেদের কার্যক্রমে ফিরবে সংগঠনটি।

(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/ইএস)