ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশকে গড়াই আ.লীগের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:১৩ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশকে গড়াই আ.লীগের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কীভাবে দেশ গড়বে সে দিক নির্দেশনাও দিয়ে রাখা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রায় আট মাস পর দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম আজ বৈঠকে বসেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশটা শুধু বর্তমান না, নতুন প্রজন্মের জন্য কীভাবে এগিয়ে যাবে, কীভাবে চলবে, সেটাই এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে নির্দেশনা দিয়ে রাখব। যেন যারাই ভবিষ্যতে আসুক তারাই এগিয়ে নিতে পারে। কারণ, আমাদের তো বয়স হয়ে গেছে। আমার তো ৭৪ বছর বয়স, আর কতদিন! সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনার পরেও সরকারের পদক্ষেপে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। এই সময়েও দেশেও রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ বেড়েছে। সভায় করোনা সংকটকালে একমাত্র আওয়ামী লীগকে জনগণ তাদের পাশে পেয়েছে বলে সভায় মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। বলেন, করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে আওয়ামী লীগ। অন্য দলগুলো জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু লিপ সার্ভিস দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে আমরা মোটামুটি ভালো অবস্থানে আছি। বাজেটের ডেফিসিটি আমরা ৬ শতাংশ ধরেছিলাম। এখানে আমার সিদ্ধান্ত ছিল, দরকার হলে ১০ শতাংশ ধরবো। কিন্তু সেটা আমাদের লাগেনি। ৬ শতাংশের মধ্যে রেখেই আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি। কারণ, আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যার একটা ইকোনমিক পলিসি আছে, সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা কিন্তু কাজ করে যাই।’

এ সময় বদ্বীপ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, এই নদী ড্রেজিংয়ের কথা সব সময় বলে আসছি। একটা সময় ছিল, আমি আর বোধহয় মতিয়া আপা ছাড়া আর কেউ ড্রেজিংয়ের কথা বলতোই না। 

‘আমাদের নদীগুলো ভাঙছে। এতে নদীগুলোরই ক্ষতি হচ্ছে। নদীগুলোকে বাঁচানো দরকার। আমরা ডেল্টা প্ল্যান করেছি। ডেল্টা প্ল্যানের একটাই লক্ষ্য, আমাদের যতগুলো বড় নদী আছে সেগুলোকে ড্রেজিং করে নাব্যতা বজায় রেখে এই বদ্বীপটা রক্ষা করা এবং সুরক্ষিত করা। দেশের মানুষকে কীভাবে সুন্দরএকটা জীবন দেওয়া যায়, অর্থনৈতিক উন্নয়নটা ত্বরান্বিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছি, বাস্তবায়ন করছি। হ্যাঁ, এটা ঠিক আমরা যা করছি, সময়ের বিবর্তনে সেটা কিন্তু সংশোধন করতে হবে। পরিবর্তন করতে হবে, পরিশোধন করতে হবে। এটা করতে হবে, এটা নিয়ম। সেটাও আমরা জানি।‘

এর আগে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সভায় সভাপতিমণ্ডলীর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এমআর