শিবপুরে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এক আহতের মৃত্যু

নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীসহ বাড়িওয়ালা দম্পত্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আহত আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি এর আগে নিহত বাড়িওয়ালার মেয়ে কুলসুম বেগম।

বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো।

নিহত কুলসুম বেগমের স্বামী জিয়াউর রহমান তারেক ও শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, ঢাকা মেডিকেলে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কুলসুম বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চার বছর বয়সী এক সন্তানের জননী। মনোহরদীর বগাদী গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে কুমরাদী গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে তিনি এ হামলার স্বীকার হন।

গত রবিবার ভোরে পারিবারিক কলহের জের ধরে শিবপুর উপজেলার কুমরাদী গ্রামের ভাড়াটিয়া কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে (৪০) কুপিয়ে আহত করে। এসময় তাকে বাধা দিতে গেলে তার এক সন্তানসহ বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও তাদের মেয়ে কুলসুমকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক স্ত্রী ও বাড়িওয়ালা দম্পত্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। আর ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় আহত কুলসুমকে। এ ঘটনায় কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়াকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে আশেপাশের লোকজন।

এ ঘটনায় রবিবার রাতেই অভিযুক্ত বাদল মিয়াকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহত বাড়িওয়ালার ছেলে শাহিন মিয়া। বর্তমানে পুলিশী হেফাজতে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্ত বাদল মিয়া। সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/পিএল)