খিচুড়ি রান্না নিয়ে হৈচৈ করার কিছু নেই: প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:১৪ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ফিডিং কার্যক্রম আরও উন্নত করতে খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশন শিখতে বিদেশে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা নিয়ে হৈচৈ করার মতো অবস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

ভারতের কেরালায় স্কুলের বাচ্চাদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থাপনা দেখতে তিনি নিজেও গিয়েছিলেন দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'যেকোনো বিষয়েই অভিজ্ঞতা নিতে হয়। অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করলে তার ফলও ভালো পাওয়া যায়।'

রান্না করা খাবার হিসেবে বাচ্চাদের খিচুড়ি দেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব নিয়ে গণমাধ্যমে পরিবেশিত সংবাদের সমালোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে গতকাল এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রকল্প পরিকল্পনায় কতজন কর্মকর্তাকে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে যেসব দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল কার্যক্রম চালু রয়েছে সেখানে কিছু কর্মকর্তাকে দেখে আসার জন্য পাঠানো হবে। আমরা শুধু প্রস্তাব পাঠিয়েছি, সেটি বিচার-বিবেচনা করে অনুমোদনের দায়িত্ব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও একনেক সভার সদস্যদের হাতে। তারা যেটি পাস করবেন, সেটি বাস্তবায়ন হবে।’

প্রসঙ্গত,পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পের ৫০০ কর্মকর্তার বিদেশ যাওয়াসহ বেশকিছু অপ্রয়োজনীয় খরচ চিহ্নিত করেছে। সূত্র জানায়, এ প্রকল্পে সামাজিক সংহতির জন্য সাড়ে সাত কোটি এবং পরামর্শকের জন্য ছয় কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া আট লাখ টাকা দিয়ে একটি এসি ও দুই কোটি টাকা দিয়ে ফার্নিচার কেনার বিষয়েও আপত্তি তুলেছে। মিটিং, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের জন্য আরও পাঁচ কোটি টাকা চেয়েছে ডিপিই।

ওই প্রকল্পের আওতায় ১৭ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা খাবার কেনার জন্য বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া খাবার সরবরাহের জন্য ১৭ কোটি এবং প্লেট কেনার জন্য ১১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। এ ব্যয় মূল্যায়ন ছাড়াই কমানো সম্ভব বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/টিএটি/জেবি)