বর্ষায় শালুক কুড়িয়েই চলে তাদের জীবিকা

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:২৫

শায়লা পারভীন,তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)

নানা প্রতিকূলতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বসবাস করা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। ওঁরাও, মাহাতো, সাঁওতাল, মুড়ারী, রবিদাস, কনকদাস, সিং, তেলী, তুড়ি, বরাইক ইত্যাদি গোত্রের ৮০-৯০ শতাংশ নৃ-গোষ্ঠিই ভূমিহীন। জন খেটে কিংবা কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাদের। কিন্তু আগের মতো এখন তাদের হাতে তেমন কোনো কাজ থাকেনা। তাই বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন কাজ করে চলেন তারা।

এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে বর্ষায় শালুক কুড়িয়ে এসব বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের খুটিগাছা, সোলাপাড়া, বিদীমাগুড়া, কাউরাইল ও মাধাইনগর ইউনিয়নের পৌষার, কালীবাড়িসহ বেশ কিছু এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির নারী ও পুরুষেরা দলবদ্ধ হয়ে মাঠের মধ্যে শালুক কুড়াচ্ছেন।

আদিবাসী কৃষক উজ্জল কুমার জানান, এই কৃষি শ্রমিকরাই বীজতলা তৈরি করতেন, শস্য উৎপাদন ও পরিচর্যা থেকে শুরু করে গৃহপালিত গবাদিপশুও পালন করতেন। এখন কোন কাজ না থাকায় জীবিকা নির্বাহের জন্য তারা এখন শালুক কুড়াচ্ছেন। শালুক কুড়িয়ে তারা বাড়িতে নিয়ে পরিস্কার করে গরম পানিতে সিদ্ধ করার পর বাজারে বিক্রী করছেন। প্রতি কেজি শালুক ৬০-৭০টাকা করে বিক্রি হয়।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোলাপাড়া গ্রামের মিনতী রানী বলেন, ‘হাতে তেমন কাজ কাম না থাকায় গ্রামের সবাই মিলে দলবদ্ধ হয়ে শালুক কুড়িয়ে তা বাজারে বিক্রি করি। বিক্রি করে যে টাকা পাই তা দিয়েই সংসার চলছে এখন।’

এ বিষয়ে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ বলেন, ‘আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যখন যে বরাদ্দ পাই, তা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের দিয়ে সহযোগিতা করি। তবে বর্ষা মৌসুমে তাদের কাজ না থাকায় তারা শালুক কুড়িয়ে জীবিকা র্নিবাহ করে।’

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/পিএল)