কোতয়ালীর ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৫

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তিন লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন বাদী কাপড় ব্যবসায়ী মো. সোহেল মীর।

বুধবার মামলাটিতে তদন্ত প্রতিবেন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ মামলায় এদিন কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেননি। মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে বাদী মামলাটি প্রত্যাহার করতে চান মর্মে আবেদন করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান বাদীর পরিপ্রেক্ষিতে মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দেন।

তবে প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে সোহেল মীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে পরিচয় জানার পর পরে কথা বলবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে ফোন দিলেও সে আর ধরেননি।

গত ১০ আগস্ট বাদী এই মামলা করেন। ওই দিন আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আসামি ছিলেন, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) পবিত্র সরকার, খালেদ শেখ ও মো. শাহিনুর, কনস্টেবল মিজান এবং পুলিশের সার্স মোতালেব।

মামলা বলা হয়, গত ২ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালী থানার ওয়াইজঘাট এলাকা দিয়ে মেয়ের বাসার দিকে যাচ্ছিলেন মো. সোহেল। পথে পুলিশ তাকে ঘেরাও করে। তল্লাশি করে তার পকেটে থাকা দুই হাজার ৯০০ টাকা নেয় পুলিশ। তল্লাশি শেষে পুলিশ সোহেলকে চলে যেতে বললে তিনি সেই টাকা ফেরত চান। তখন তাকে মারধর করা হয়। আস্তে আন্তে সেখানে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। লোকজন এসে জানতে চান, কী হয়েছে? তখন আসামিরা বলে, তার পকেটে দুই প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে ফাঁসাতে চান। তখন সোহেল তাদের কাছে কাগজ দেখতে চান। পরে আসামিরা তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে আসামিরা তাদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না হলে ক্রসফায়ারে দেয়ার হুমকি দেন। জেএমবির সদস্য বলে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে সোহেলের পরিবারের সদস্যরা রাতেই আসামিদের দুই লাখ টাকা দেন। পরদিন সকালে আরও এক লাখ টাকা দেন। টাকা দেয়ার পর সোহেলের বিরুদ্ধে মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে তিনি মাদক সেবন এবং শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করেছেন মর্মে অভিযোগে আদালতে পাঠান। এরপর আসামিরাই তাকে জামিন করিয়ে আনেন। এরপরই ভিকটিম সোহেল আদালতে এ মামলা করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)