শিক্ষার্থীদের জন্য শাবির মানসিক স্বাস্থ্যসেবা

করোনাকালে শিক্ষার্থীরা যেন হতাশা ও বিষন্নতাগ্রস্ত না থাকে সেজন্য কাজ করছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের হতাশা ও বিষন্নতা দূর করে মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বৃহস্পতিবার চার পর্বে অনলাইনে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দিবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা বিভাগ। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এই সেবা শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে পৃথকভাবে চার দিনে চার পর্বে অনলাইনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে এ সেবা চলবে। প্রতি পর্বে সাতটি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ সেবা চলবে। আগ্রহীরা ৮৪০৪৭৬০০৭৮ জুম আইডি এবং ১৪৪০৮০ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এ সেবা নিতে পারবেন।

বুধবার অনলাইনে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার।

ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেকদিন যাবত বাড়িতে রয়েছে। তাদের মানসিক অবস্থা যেন কোনো কারণে খারাপ না থাকে সেজন্য আমাদের এ উদ্যোগ। জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ দেয়া হবে।

ড. রাশেদ তালুকদার আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন নেছা এ স্বাস্থ্য সেবায় সবাইকে সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ ও নির্দেশনা দিবেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র উপদেষ্টা থাকবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা দপ্তর থেকে জানা যায়, এ সেবার প্রথম পর্বে ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, নৃবিজ্ঞান ও বাংলা বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।

আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্বে অর্থনীতি, ইংরেজি, পলিটিক্যাল স্টাডিজ, লোকপ্রশাসন, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।

তৃতীয় পর্বে আগামী ১ অক্টোবর রসায়ন, জিয়োগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, গণিত, পদার্থ, পরিসংখ্যান, সমুদ্রবিদ্যা ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। আগামী ৮ অক্টোবর শেষ পর্বে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, আর্কিটেকচার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারি অনেকেই অবসাদগ্রস্ত ও বিষন্নতায় রয়েছেন। অনেকে দেখা যাচ্ছে কাজে অমনোযোগী ও হতাশাগ্রস্ত। এজন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে করে তারা এ সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে কাজে মনোযোগী হতে পারেন। আশা করি সংশ্লিষ্ট সবাই এ সুযোগটা নিবেন।'

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/কেএম)