অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে বশেমুরবিপ্রবি’র কোটি টাকার আসবাবপত্র

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:১৪ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৫

শেখ মোস্তফাজামান, গোপালগঞ্জ

অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি টাকার আসবাবপত্র। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র ক্রয় করায় এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে এসব নষ্ট হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০ আবাসিক হলের এসব বেড, চেয়ার, টেবিল, কেবিনেট, আলমারি, শোকেজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি চুরিও হয়েছে অনেক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনের অংশে প্রায় ৫০০টি এবং পেছনের অংশে প্রায় ৩০০টি স্টিলের বেড ফেলে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় রোদ, বৃষ্টি এবং ধুলোবালির প্রভাবে এসব বেডে একদিকে যেমন মরিচা পড়তে শুরু করেছে অন্যদিকে বেডগুলোকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ঝোপঝাড়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন নির্মিত হলগুলোর জন্য ১ হাজার থেকে ১৫০০ বেড যথেষ্ট ছিল। কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি বেড অর্ডার করায় সেগুলো এখন নষ্ট হচ্ছে। এসব আসবাবপত্রের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও ওয়ার্কস দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, বশেমুরবিপ্রবির অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুই বছরে এসব বেড ক্রয় করা হয়েছে। এ সময়ে ১১টি ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড ও খুলনা শিপইয়ার্ড থেকে ২৬৭০টি বেড ক্রয় করা হয়েছিল। যার দাম মোট ৪ কোটি ৪৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ টাকা। প্রতিটি বেডের গড় মূল্য ১৬ হাজার ৭৮৯ টাকা করে। এর মধ্যে শুধু ২০১৯’র ২৮ মে এবং ২৬ জুন দুই দিনেই ১ হাজার ৯৪৫টি বেডের অর্ডার দেওয়া হয়। তবে এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে ৪০০ আসনবিশিষ্ট মাত্র দুটি হল নির্মাণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ৮০০ বেশি।  এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বেড ক্রয় করায় এসব বেড নষ্ট হচ্ছে। যার দাম ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা। 

এ বিষয়ে নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এ কিউ এম মাহবুব বলেন, ‘তৎকালীন উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের নির্দেশেই এ সকল ওয়ার্ক অর্ডার করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে কোটি টাকার অধিকমূল্যের এসব আসবাব বাইরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অনেক মালামাল চুরিও হয়েছে এখান থেকে। আমি এসব আসবাপত্র সংরক্ষণ করে রাখার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।’

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/পিএল)